বর্তমানে স্মার্টওয়াচ অনেকের কাছেই ফ্যাশন এবং ব্যাক্তিত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আপনার কাছে ভালো একটি স্মার্টফোন আছে, সাথে যদি একটি স্মার্টওয়াচ থাকে তাহলে তো কথাই নেই। আবার বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্মার্টওয়াচ। এটার অনেক ধরনও রয়েছে। কোনোটার হয়তো ব্যাটারী ব্যাকআপ ভালো না, কোনোটার হয়তো ডিসপ্লে ছোট, কয়েকটির আবার কিছু সেন্সরে সমস্যা, কিছু আছে কলিং ফিচার নেই ইত্যাদি। যেনো কোনো পারফেকশন নেই। অনেক সময় দেখা যায় দুই নাম্বার জিনিস কিনেও অনেকে ঠকে যায়। যাই হোক, আজ কথা বলতে যাচ্ছি এমন একটি স্মার্টওয়াচ নিয়ে যেটি একটি ‘অল ইন ওয়ান’ প্যাকেজ। এই স্মার্টওয়াচটি তৈরী করেছে ‘শাওমি’ ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডের ব্যাপারে না হয় কথা নাই বললাম। কারন মোবাইল ফোনের সাথে সাথে এই ব্র্যান্ডটি খ্যাতি পেয়েছে আরও অনেক ইলেকট্রনিকস গেজেট বিক্রি করে। তাদের এই নতুন রিলিজপ্রাপ্ত স্মার্টওয়াচটির মডেলের নাম ‘অ্যামাজফিট জিটিএস ২’। যেটা নামের পাশাপাশি দেখতেও দারুন।
তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক এই স্মার্টওয়াচটির ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু তথ্যঃ⤵
এই ‘জিটিএস ২’ স্মার্টওয়াচটি দেখতে ছিলো খুব চমৎকার। স্কয়ার শেপের তো অনেক স্মার্টওয়াচই আছে, তবে এটি ছিলো ভিন্নের মধ্যে সুন্দর। এটির ডিসপ্লেতে রয়েছে ‘৩ডি টেম্পারড কার্ভ গ্লাস’, যেটাতে ‘এন্টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট কোটিং’ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ আঙ্গুলের ছাপ এই ডিসপ্লের উপর কয়েকবার পরলেও, গ্লাসটি পরিষ্কারই থাকবে। স্মার্টওয়াচটির ফ্রেম এবং বডি ছিলো অ্যালুমিনিয়ামের। যেটা দেখতে খানিকটা প্রিমিয়াম লেগেছিলো।
এই স্মার্টওয়াচটির সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় দিক হচ্ছে এর অসাধারণ কার্ভিং ডিসপ্লেটি। বাজেট অনুযায়ী এই স্মার্টওয়াচটির ডিসপ্লে ছিলো সেরা। ডিসপ্লেটির কালার, কনট্রাস্ট, ব্রাইটনেস লেভেল যথেষ্ট ভালো ছিলো। ডে লাইটেও ডিসপ্লেটির ব্রাইটনেস অনেক ক্লিয়ার এবং পারফেক্ট ছিলো। ডিসপ্লেটি হচ্ছে ১.৫৫ ইঞ্চি। যেটা অ্যামোলেডের লেয়ারে তৈরী। এর রেজুলেশন ৩৪৮×২৪২। ডিসপ্লেটির পিপিআই ৩৪১। যে কারনে এর মধ্যে খুবই শার্প এবং ভিভিড পিকচার কোয়ালিটি পাওয়া যাবে। এটিতে ব্যাবহার করা সফটওয়্যার এক্সপেরিয়েন্স ছিলো বেশ প্রিমিয়াম। চালানোর সময় কোনোরকম ঝামেলায় পরতে হয়নি এই স্মার্টওয়াচটি। সুন্দরভাবে ফাস্টলি চলেছিলো এটি।
স্মার্টফোন ছাড়াই এই স্মার্টওয়াচটিতে পেয়ে যাবেন অনেক ধরনের ‘ওয়াচ স্পেস’ এবং ‘ওয়ালপেপার’। সাথে স্মার্টফোন কানেক্ট করে যেকোনো ধরনের পিকচার সেট করার সুবিধা তো থাকছেই।
২৫ গ্রাম ওজনের এই স্মার্টওয়াচটি হাতে পরে ফিলিংসটা ছিলো একদমই লাইট। সেন্সর হিসেবে রয়েছে পিএআই, এয়ার প্রেশার, জাইরোস্কোপ, জিও ম্যাগনেটিক সেন্সর ইত্যাদি। মানে সেন্সরের অভাব নেই এই স্মার্টওয়াচটিতে।
কানেক্টিভিটি হিসেবে রয়েছে ‘ব্লুটুথ ৫.০’। যেটা ভালোই ফাস্ট। স্মার্টওয়াচটিতে দেয়া হয়েছে ২৪৬ এমএইচের ব্যাটারী। যেটা ফুল চার্জ হতে সময় লাগে ২ ঘন্টা এবং ব্যাকআপ পাওয়া যাবে ৯-১০ দিন।
এই স্মার্টওয়াচটিতে আরও রয়েছে ‘কলিং ফিচার’, যেটা অনেক স্মার্টওয়াচেই থাকেনা। ফোনের সাথে কানেক্ট করে, এর মাধ্যমে কথাও বলতে পারবেন আপনি। নরম্যালি মিউজিক কন্ট্রোল এবং হার্ট রেট সেন্সরও থাকছে এই স্মার্টওয়াচটিতে।
সব মিলিয়ে এই স্মার্টওয়াচটি ছিলো পারফেক্ট একটি প্যাকেজ। যারা একটু বেশি দামের মধ্যে ভালো একটি অলরাউন্ডার স্মার্টওয়াচ খুজছেন, এই স্মার্টওয়াচটি হতে পারে তাদের জন্য পারফেক্ট। বর্তমানে এর দাম ১৪,৫০০ টাকা।