কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোন—এসব ডিভাইসের প্রাণই চিপ। আকারে ৫ বা ৭ ন্যানোমিটার হলেও এ সংকটে ‘পাগলপ্রায়’ প্রযুক্তি বিশ্ব!
চিপ সংকটের বিষয়টি বেশ ভাবাচ্ছে প্রযুক্তি বিশ্বকে। বাজারে চিপের সরবরাহ কম বলে অনেক কারখানায় উৎপাদন থেমে আছে। অনেক ডিভাইসেরই সরবরাহ কমে যাবে। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হবে।
সংবাদ মাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার এই সমস্যার নাম দিয়েছে ‘চিপএজডন’। চিপের সংকটে পড়ে নির্ধারিত সময়ের এক মাস পর আইফোন আনার ঘোষণা দেয় অ্যাপল। স্যামসাং ও কোয়ালকম চিপ তৈরি করে নিজেদের ও অন্যদের চাহিদা মেটাতে পারেনি।
একটি গাড়ি উৎপাদনে অন্তত ১০০ মাইক্রোচিপের প্রয়োজন হয়। বড়দিনের সময় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোও একই সমস্যার মুখোমুখি হয়। এক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি জানিয়েছে, চিপের অর্ডার করলে সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত ৪০ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
স্যামাসাং ও টিএসএমসি এরই মধ্যে ৫ ন্যানোমিটারের চিপ তৈরির জন্য বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ‘চিপএজডনের’ মূল কারণ মহামারি। লকডাউনের সময় কম্পিউটারের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে চিপেরও ঘটতি দেখা দেয়।
এদিকে আগামী কয়েক মাসে বাজার স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।