অতীতে কোনো ইলেকট্রনিক পন্য মোবাইল ফোনের মতো এত প্রভাব বিস্তার করেনি। স্মার্টফোনের ব্যাবহার আমাদের মধ্যে যেনো একটি নেশার মতো।
আমরা আমাদের দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই স্মার্টফোন নিয়ে কাটাই। অনেকে গেইমস খেলে, অনেকে ফেইসবুক নয়তো ইউটিউব দেখে সময় পার করে। আমরা অনেকেই চেষ্টা করি একজনের থেকে আরেকজনের ফোনের তুলনা করে এগিয়ে থাকার জন্য। এজন্য অনেকে বিভিন্ন ইউনিক ধরনের স্মার্টফোন ব্যাবহার করে। আমাদের দেশে স্মার্টফোন ব্যাবহার হওয়া শুরু হয়েছে এই কিছু বছর হবে। ছোট ব্র্যান্ডগুলো থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে এখন বিভিন্ন বড় মোবাইল ব্র্যান্ডের ফোনও বাজেটের মধ্যে চলে এসেছে। আমাদের পৃথিবীতে অনেকে দেশেই বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের স্মার্টফোনগুলোকে আকর্ষণীয় ডিজাইনে বাজারে আনে। আজ কথা বলতে যাচ্ছি এমন কয়েকটি আজব ডিজাইনের স্মার্টফোন নিয়ে, যেগুলোর ব্যাপারে হয়তো আপনাদের আগে জানা ছিলোনা।
তো চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক সেই ফোনগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিতঃ⤵
১. দি ড্রাস ফোনঃ
সর্বাধুনিক এই স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে অত্যান্ত নমনীয়। এটির টাচ স্ক্রিন মডেলে ভেদে দুই থেকে চার ভাবে ১৮০° পর্যন্ত ভাজ করে ব্যাবহার করা যায়। এছাড়াও এই স্মার্টফোনটি আরও অনেক ভিন্ন রকম ভাবে ব্যাবহার করা যায়।
২. লেনেভো সি প্লাসঃ
অস্বাভাবিকভাবে লম্বা এই ফোনটি শুধু ভাজই করা যায়না, চাইলে আপনার হাতে কব্জির সাথে ঘড়ির মতো ব্যাবহার করতে পারবেন। এভাবে এটিকে চালাতেও পারবেন স্বাভাবিকভাবে। এই ফোনটির ভিতরের ছোট ছোট ইলেকট্রনিকস যন্ত্রগুলো কয়েকটি ভাগে স্থাপন করা হয়েছে। স্মার্টফোন বা ঘড়ি যখন যেভাবে দরকার ব্যাবহার করতে পারবেন এই ফোনটি।
৩. এনইসি ফ্লিপ ফোনঃ
একটি স্মার্টফোনের কতগুলো স্ক্রিন থাকতে পারে। অবাক হলেও এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে তিনটি স্ক্রিন। সেই সাথে এই স্ক্রিন গুলোতে আলাদা আলাদা অ্যাপসও ব্যাবহার করা যায়। সেই সাথে চাইলে তিনটি স্ক্রিনেই একটি অ্যাপস ব্যাবহার করা যায়। ভাজ করে রাখা এই ফোনটির এটিই মূল বিশেষত্ব।
৪. নকিয়া ৮৮৮ঃ
‘নকিয়া’র এই ফোনটি নমনীয়তার পরীক্ষায় অন্য সকল ফোনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এই ফোন ডিসপ্লে বা স্ক্রিন যেকোনো দিকে ঘুরিয়ে রাখা যায়। যেটির পুরুত্ব মাত্র ৫ মি.মি.। ফোনটি এতটাই স্লিম যে আপনি চাইলে আপনার বইয়ের ভাজেও এই ফোনটি রেখে দিতে পারবেন। যেটি সত্যিই অসাধারণ। এই ফোনটি ‘নকিয়া’ এখনো লঞ্চ করেনি। তবে লঞ্চ করলে এর চাহিদা কি পরিমানে থাকবে সেটাই দেখার বিষয়।
৫. গুগোল প্রজেক্ট এআরএঃ
স্মার্টফোনের জগৎে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিলো এই ফোনটি। বিভিন্ন যন্ত্র কিনে যেভাবে কম্পিউটার তৈরী করা হয়, সেভাবেই এই ফোনটিও তৈরী করা হয়। ফোনটির ক্যামেরা, মেমোরি, জিপিআরএস সহ সকল উপাদানগুলো তরিৎ চুম্বকের মাধ্যমে লাগানো থাকে। ফোনটি আসলে এভাবে তৈরীর কারন হচ্ছে, গ্রাহক যেনো নিজের পছন্দমতো যন্ত্র পরিবর্তন করে ফোনটিতে তার পছন্দমতো যন্ত্র দিয়ে তৈরী করতে পারে। তবে কিছু ব্যাবহারিক অসুবিধার কারণে এই ফোনটি ‘গুগোল’ বাতিল করে দেয়।