বর্তমানে আমরা আমাদের নিজেদের জন্য অনেক ধরনের এক্সেসরিজ ব্যাবহার করি। হতে পারে সেটা হাতের ঘড়ি অথবা পায়ের জুতা। কিন্তু, সবসময়ই চেষ্টা করি সেই জিনিসটি যেনো একটু অন্যরকম হয়। অর্থাৎ অন্যদের থেকে ভালো এবং মনোমুগ্ধকর হতে হবে। এই এক্সেসরিজগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম চোখ ধাধানো একটি এক্সেসরিজ হচ্ছে ঘড়ি। একটি সুন্দর ঘড়ি আপনি সুন্দরভাবে হাতে পরলে সেটা দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে। এই ঘড়িরও অনেক ব্র্যান্ড রয়েছে। যারা অনেক দামী দামী ঘড়ি বাজারে বিক্রি করে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম খ্যাতিসম্পন্ন একটি ঘড়ির ব্র্যান্ডের নাম হচ্ছে ‘রোলেক্স’। আজ এই ব্র্যান্ডটির ব্যাপারে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিছু তথ্য। এই ব্র্যান্ডের ঘড়ির দাম লাখ লাখ টাকা, কিন্তু এর কারন কি। এসব কিছুই জানানোর চেষ্টা করবো আজকে। তো চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক বিস্তারিতঃ
‘রোলেক্স’ অনেক বছর ধরেই ঘড়ির বাজারে রাজত্ব করে চলেছে। এই ঘড়ির কিছু মডেল রিলিজ হতে না হতেও সেগুলো দখলে নিয়ে নেয় ধনী ব্যাক্তিরা।
‘রোলেক্সে’র নির্মানশৈলীর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে অনেক দামী দামী জিনিস। যে কারনে এর দামও ধরা হয় সেভাবে।
এর মধ্যে শুরুতে কথা বলা যাক এদের ঘড়ির স্টিল নিয়ে। ‘রোলেক্স’ তাদের ঘড়িতে থাকা স্টিল তৈরী করে ‘৯০৪ এল গ্রেডে’র মাধ্যমে। যে স্টিল বাজারে অনেক দামী ঘড়িতেও ব্যাবহার করা হয়না। এই স্টিল হাতে পরে থাকলে আরাম বোধ হয়। যেটা অন্য কোনো ঘড়িতে হয়না।
এই ঘড়ির প্রতিটি পার্টস আলাদা আলাদা ভাবে দক্ষ কারুকাজশিল্পী দ্বারা তৈরী হয়ে থাকে। ঘড়ির প্রত্যেকটা অংশ সূক্ষ এবং নিখুতভাবে করা হয়ে থাকে।
‘রোলেক্স’ ঘড়ির প্রতিটি ডায়ালে কাটায় রয়েছে একদল দক্ষ শিল্পীর অসাধারন তৈরী ডিজাইন। যেটি আপনাকে ভাবাতে বাধ্য করবে কিভাবে এগুলো এতো নিখুত হতে পারে। মূলত এটাই বাকি সকল ঘড়ির ব্র্যান্ড থেকে ‘রোলেক্স’কে আলাদা ভাবে তুলে ধরে। যেটি হাতে দিলে প্রিমিয়াম একটা অনুভূতি আসে।
‘রোলেক্সে’র ঘড়িগুলো বিশেষ কিছু উপাদানের মাধ্যমে তৈরী হয়ে থাকে। যেখানে থাকে ‘গোল্ড প্লাটিনামে’র ফিনিশিং টাচ। যেটি এদের ঘড়ির উচু মূল্যের আরেকটি কারন। ‘রোলেক্স’ তাদের নিজস্ব খনি থেকে উত্তোলন করা ‘গোল্ড প্লাটিনাম’ দিয়ে অসাধারণ ডিজাইনে তৈরী থাকে এই ঘড়িগুলো। অনেক সতর্কতার সাথে এর ডিজাইনাররা এই ঘড়িগুলো ডিজাইন করে থাকে। যার নেতৃত্বে অবশ্যই থাকতে হয় দক্ষ কর্মীদের।
১৮,২২ কিংবা ২৪ ক্যারেটের গোল্ড দিয়ে তৈরী করা হয় ‘রোলেক্সে’র প্রতিটি ঘড়ি। কিছু কিছু ঘড়ি পুরোপুরি স্বর্ন দিয়ে তৈরী করা হয়। যেগুলোর বেশিরভাগেই থাকে টাকাওয়ালা ব্যাক্তিবর্গদের প্রি-অর্ডার।
‘রোলেক্সে’র সূত্রপাত হয় ‘সুইজারল্যান্ডে’। দেশটিতে মূলত শ্রমের দামকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।
‘রোলেক্সে’র রিসার্চ উইং অনক সমৃদ্ধ। যে কারনে বর্তমানে স্মার্টওয়াচের যুগেও ‘রোলেক্স’ তাদের হাতঘড়ির ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছে।
সবসময় খ্যাতি এই মান বজায় রাখার জন্য ‘রোলেক্স’কে অনেক কিছুই ইগনোর করে চলতে হয়েছে।
‘রোলেক্সে’র প্রথম মোটো ছিলো ‘কোয়ালিটি ফার্স্ট’। যে কারনে যেটা হওয়ার সেটাই হয়েছে। ৯৫% রিসেল ভ্যালু টিকিয়ে রাখতে তারা সক্ষম হয় তাদের কোয়ালিটি মেইনটেইন এবং লেভেলের মেটেরিয়াল ব্যাবহার করার জন্য ৷ ‘রোলেক্স’ তাদের ঘড়িগুলো ওয়াটারপ্রুফ এবং প্রেশার রেসিস্টেন্ট রাখার জন্যে এমন একটি হাই প্রেশার ওয়াটার ট্যাংক তৈরী করেছে যার ফলে প্রতিটি ঘড়ি ১২০০০ মিটার পানির নিচে গিয়েও চাপ বহন করতে সক্ষম হয়।
এসব কারনেই আজ অন্যতম সফল একটি ব্র্যান্ড হচ্ছে এই ‘রোলেক্স’। বর্তমানে অনেক নতুন নতুন ব্র্যান্ডকে এর সমপর্যায়ে যেতে হলে পোড়াতে হবে অনেক কাঠখড়ি।