হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি নীতির বিরুদ্ধে তুর্কী মোবাইল কোম্পানি ‘বিপ’ নামে একটি অ্যাপ লঞ্চ করে। সেই অ্যাপসটি সোসিয়াল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছেন সেই দেশটির প্রেসিডেন্ট ‘এরদোগান’। এর মাধ্যমে প্রযুক্তি জগৎে অনেকটা হঠাৎ করেই আলোড়ন সৃষ্ট করে ভিডিও এবং অডিও কলিং সেই ‘বিপ’ অ্যাপটি। এই অ্যাপটি নামি-দামি অনেক অ্যাপসকেই পিছনে ফেলে অনেক উপরে চলে এসেছিলো।
বিভিন্ন তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই অ্যাপ এখন বিভিন্ন দেশেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে যে ব্যবহারকারীদের কিছু তথ্য তারা তাদের সহযোগী কোম্পানির সাথে শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে হোয়াটসঅ্যাপে আদান-প্রদান করা বার্তা এবং তথ্যের গোপনীয়তা বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।
‘বিপ’ অ্যাপটির তরফ থেকে যে বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার করা হচ্ছে, সেখানে তাদের পক্ষ থেকে গোপনীয়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই অ্যাপে ভয়েস কল এবং মেসেজ আদান প্রদানে গোপন থাকবে এটি কেউ হ্যাক করতে পারবে না। এই অ্যাপস হোয়াটসঅ্যাপ সহ অন্যান্য ভিডিও কলিং এবং মেসেজিং অ্যাপের মতো করেই কাজ করে। এছাড়াও আরও অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে এই অ্যাপটিতে।
আইওএস চালিত আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড-চালিত মোবাইল ফোনে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা যায়। এছাড়াও ডেক্সটপে ব্যবহার করা যায় এই অ্যাপটি।
তুরস্কের গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে যে মোবাইল ফোন কোম্পানি ‘ট্রাকসেল’ এই ‘বিপ’ অ্যাপটি উদ্বোধন করে ২০১৩ সালে। বিশ্বের ১৯২ টি দেশে এই অ্যাপটি ব্যবহৃত হচ্ছে। যেখানে ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই ছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশের। সাম্প্রতিক সময়ের আগে পর্যন্ত এই অ্যাপটি সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হয়েছে জার্মানিতে এবং সেখানে এই অ্যাপটির ব্যবহার অনেক বেশি। এছাড়াও ফ্রান্স এবং ইউক্রেনের অনেক মানুষ এই অ্যাপটি ব্যবহার করে। বর্তমানে ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে এই অ্যাপটির অনেক চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। অন্যদিকে বাংলাদেশের ২৫ শতাংশ মানুষই ব্যবহার করে স্মার্টফোন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ লোক অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন ব্যবহার করে। সেই সাথে তারা ‘গুগল প্লে স্টোর’ থেকে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ডাউনলোড করে। যেখানে ‘বিপ’ অ্যাপটি তারা অনেকেই ডাউনলোড করে ব্যবহার করছে। আসলে প্রাইভেসি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষও অনেক চিন্তিত থাকে। সে কারণেই আমাদের দেশের অনেক মানুষই এই ‘বিপ’ অ্যাপটি ব্যবহার করছে।
তুরস্কের এই অ্যাপটির সাফল্যের ব্যাপারে সেই দেশের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তুরস্ক যেহেতু একটি মুসলিমগরিষ্ট দেশ তাই অনেক মুসলিম দেশেই আলাদা আলাদা ভাবে এই অ্যাপটির চাহিদা বেশী থাকতে পারে। সেইসাথে অন্যান্য মানুষজন তো রয়েছেই।