ডিজিটাল বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সফটওয়্যার খাতে বিপ্লব এসেছে। পাশাপাশি এআই ও আইওটির মতো প্রযুক্তির উন্নয়নে সফলভাবে কাজ করছে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অটোমেশন ও সফটওয়্যার খাতে গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশি সফটওয়্যার শিল্পে সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে সিনটেক সল্যুশন লিমিটেড।
বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের সর্বত্রই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সরকারি কর্মকান্ডে প্রযুক্তির ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারি সেবাসমুহ সহজে ও খুব কম সময়ে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে সিনটেকের বিভিন্ন সেবা। সিনটেক আইটি পরামর্শ, ইআরপি, ই-গভ, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, এআই, আইওটিসহ নানা সেবা নিয়ে কাজ করে।
এ প্রসঙ্গে সিনটেক সলিউশনের হেড অব বিজনেস ও পরিচালক হানিফ মাহমুদ খান বলেন, `সরকারি সেবাসমূহকে ডিজিটালাইজেশন এবং বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারের সহযোগী হয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে সিনটেক সল্যুশন লিমিটেড।’ সিনটেক সল্যুশন লিমিটেড বেসিস নিবন্ধিত, আইএসও ২৭০০১: ২০১৩, আইএসও ৯০০১: ২০১৫ ও সিএমএমআই লেভেল ৩ সনদ পাওয়া সফটওয়্যার কোম্পানি।
ইতোমধ্যে, সিনটেক সল্যুশন লিমিটেড এর তৈরিকৃত সফটওয়্যার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প কর্পোরেশন ছাড়াও একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানে চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি প্লাটফর্ম তৈরির কাজ করছে। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা খাতেও সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সিনটেকের নানা সেবা। দেশের গন্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরেও সফলভাবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
সিনটেক সলিউশনের প্রধান নির্বাহী ফারুক উদ্দিন বলেন, ‘সিনটেক সফলতার সাথে গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগোপযোগী সেবা নিয়ে প্রস্তুত সিনটেক। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং আইওটি নিয়েও কাজ করছে।’
বর্তমানে করোনাকাল পেরিয়ে নতুন কর্মী নিয়োগ দিতে কাজ করছে সিনটেক। দেশের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ভূমিকা রাখছে। সফলতার স্মারক হিসেবে ২০১৯ সালে বেসিস জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি পুরস্কারও পেয়েছে সিনটেক।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলেন, আগামী কয়েক বছরে আরও নতুন উদ্ভাবন, দুদান্ত সেবা চালু রাখা ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সিনটেক।