ফোন কোম্পানিগুলো চলতি বছর বাজারে আসতে যাওয়া মধ্যমমানের ও উচ্চমানের ফোনগুলোকে ফাইভজি প্রযুক্তিসম্পন্ন করার দিকে ঝুঁকছে। গ্রাহকদের ক্রমাগত চাহিদার ভিত্তিতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। ছোট শহর ও নগরগুলোতে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ যোগাযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা করে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। খবর দি ইকোনমিকস টাইমস।
রিয়েলমি ও ভিভো জানায়, চলতি বছর বাজারে আসতে যাওয়া ২০ হাজার রুপির বেশি দামের সব ডিভাইস ফাইভজি প্রযুক্তিসম্পন্ন হবে। ফাইভজি-সম্পন্ন ফোনগুলোর দাম হ্রাস পেতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেয় রিয়েলমি।
অপো জানায়, চলতি বছর তাদের ছয়টির বেশি মডেলে ফাইভজি সম্পন্ন ডিভাইস বাজারে আনার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে শাওমিও গ্রাহকদের নাগালের মধ্যে দাম রেখেই ফাইভজি প্রযুক্তিসম্পন্ন ডিভাইস আসার ব্যাপারে আগ্রহী। মূলত ভারতের বাজারে ১৫ হাজার রুপি বা তার চেয়ে কম দামের ফোনগুলোর চাহিদাই বেশি থাকে, যা ১২ থেকে ১৫ মাসের পরিবর্তন সেবার শর্তে গ্রাহকরা কিনে থাকে।
রিয়েলমি ইন্ডিয়ার মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মাধব শেঠ বলেন, রিয়েলমির অর্ধেক ডিভাইসই ফাইভজি প্রযুক্তিসম্পন্ন হবে। পাশাপাশি ২০ হাজার রুপির বেশি দামের প্রতিটি ডিভাইস এখন থেকে ফাইভজি প্রযুক্তিসম্পন্ন করবে রিয়েলমি। আমরা আমাদের গ্রাহকদের থেকে ফাইভজি প্রযুক্তিসম্পন্ন ডিভাইসগুলোর দাম ১৫ হাজার রুপির কম রাখতে প্রচুর অনুরোধ পাচ্ছি।
শেঠ আরো বলেন, অনলাইনে প্রচুর গ্রাহক ফাইভজি ডিভাইস খোঁজ করছেন। বর্তমানে অনলাইন স্টোরগুলো থেকে আমরা এ-সংক্রান্ত প্রচুর চাহিদা পাচ্ছি।
ভিভো ইন্ডিয়ার ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি পরিচালক নিপুণ মারয়া বলেন, আমরা ২০ হাজার রুপি বা তার বেশি দামের সব ডিভাইসই ফাইভজি প্রযুক্তিসম্পন্ন করব। এগুলো ১৮ মাসের পরিবর্তনযোগ্য সেবায় বিক্রয় করা হবে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, চলতি বছরে ভারতের বাজারে ফাইভজি ডিভাইসের চাহিদা নয় গুণ পর্যন্ত বেড়ে ৩৮ মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছতে পারে।
অপো ইন্ডিয়ার মুখপাত্র আরিফ বলেন, ভারতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির শহরগুলোতেও যুবকদের মাঝে ফাইভজি প্রযুক্তির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সুতরাং সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বাজারে টিকে থাকতে অপোর জন্য ফাইভজি প্রযুক্তির ডিভাইস তৈরি করা এখন প্রয়োজনীয়।
রিয়েলমি জানায়, টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে ফাইভজি তরঙ্গ সংযোজন করার কথা ভাবছে।