চাইলেই যাতে প্রাপ্তবয়স্করা কিশোর বয়সীদেরকে ইনস্টাগ্রামে সরাসরি মেসেজ পাঠাতে না পারেন, সে লক্ষ্যে সুরক্ষা ব্যবস্থা যোগ করছে ফটো শেয়ারিং অ্যাপটি।
নতুন সুরক্ষা ব্যবস্থায় যদি কোনো কিশোর বয়সী কোনো প্রাপ্তবয়স্ককে অনুসরণ করেন, তাহলেই শুধু সরাসরি মেসেজ পাঠাতে পারবেন তিনি। তবে, অ্যাকাউন্টে সঠিক বয়স দেওয়া থাকতে হবে সুবিধাটি পেতে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, অনেক সময়ই কিশোর বয়সীরা নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল এড়াতে ইনস্টাগ্রামে নিজেদের বয়স বাড়িয়ে দিয়ে রাখে। অনেক সময় শিশু নিপীড়করাও নিজেদের বয়স কমিয়ে দিয়ে রাখে প্ল্যাটফর্মটিতে।
বয়স যাচাই সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে “নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি” তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইনস্টাগ্রাম। অ্যাকাউন্টধারীরা বয়সের ব্যাপারে ভুল তথ্য দিলে তা শনাক্ত করতে সাহায্য করবে এটি।
বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের জন্য অন্তত ১৩ বছর বয়স হতে হয় ব্যবহারকারীর। অল্প বয়সীরা অ্যাকাউন্ট খোলার পরপরই তা ‘প্রাইভেট’ করে রাখার অপশন দেয় ইনস্টাগ্রাম। প্রাইভেট করে রাখলে অন্য কোনো ব্যবহারকারী অল্প বয়সী অ্যাকাউন্টধারীর অনুমতি ছাড়া তার অ্যাকাউন্টের ছবি দেখতে পান না।
“যদি কিশোর বয়সী সাইন আপের সময় ‘প্রাইভেট’ না করেন, তাহলে আমরা পরে তাদেরকে নোটিফিকেশন পাঠাই, ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের সুফল উল্লেখ থাকে সেখানে এবং তাদেরকে সেটিংসে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেই।” – এক ব্লগপোস্টে লিখেছে ইনস্টাগ্রাম।
জানুয়ারিতে ইনস্টাগ্রাম প্রতিদ্বন্দ্বী টিকটক ঘোষণা দিয়েছে, তাদের প্ল্যাটফর্মে ১৬ বয়সের নিচের ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ‘বাই-ডিফল্ট’ প্রাইভেট থাকবে।
টিকটকে ১৩-১৫ বছর বয়সীরা মন্তব্যের জন্য ‘বন্ধু’কে অনুমোদন দিতে পারবেন এবং ভিডিও সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে অনলাইন সেবাকে ব্লক করার মতো ক্ষমতা নিয়ন্ত্রকদের হাতে তুলে দেবে যুক্তরাজ্যের প্রস্তাবিত ‘অনলাইন হার্ম বিল’। কিন্তু বিলটির আইনে পরিণত হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।