২০২৫ সালের মধ্যে ইউরোপের উচ্চগতির ফাইভজি ইন্টারনেট সেবা ত্বরান্বিত করতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি ইউরো বা ৩৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার প্রয়োজন। ২৭ সদস্যবিশিষ্ট এ ব্লকটির অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত এবং প্রযুক্তি খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে এ বিনিয়োগ জরুরি বলে মনে করছেন শিল্পসংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স।
টেলিকমস লবিং গ্রুপ ইটিএনও অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বিসিজি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাদের মতে, করোনা মহামারী পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের জগতে নেতৃত্ব দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ফাইভজির প্রতি নজর দিয়েছে। তবে ইইউর টেলিফোন অপারেটররা ফাইভজি প্রযুক্তির বিস্তৃতিতে আগ্রহী নয়। তবে এর বিশাল ব্যয়ের কারণে এটি স্মার্ট ফ্যাক্টরি ও স্বয়ংক্রিয় গাড়ির কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো ইউরোপে পরিপূর্ণভাবে ফাইভজি প্রযুক্তি দৃশ্যমান করতে ১৫ হাজার কোটি ইউরোর প্রয়োজন। সেই সঙ্গে বর্তমানে যে অবকাঠামো রয়েছে, সেগুলোর গতি গিগাবাইটে রূপান্তরিত করার জন্য অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি ইউরোর প্রয়োজন।
প্রতিবেদনটিতে টেলিকম শিল্পের উন্নয়নে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি বেশকিছু পদক্ষেপের প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। এ রকম একটি পদক্ষেপ হচ্ছে অবকাঠামোর সম্মিলিত ব্যবহার। যেটি মালিকানার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনছে। সেই সঙ্গে প্রচলিত আইন ও বিধিতে কিছুটা শিথিলতা আনার ব্যাপারেও প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।