তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক হোম গ্রোন ইনোভেশন এন্ড সল্যুশন দিয়েই একটি প্রবলেম সলভিং জাতি হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তোলতে হবে। ডিজিটাল সোসাইটি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন সাংস্কৃতিক মুক্তি ছাড়া টেকসই অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ ইনোভেশন এন্ড ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটসের উদ্যোগে ” ডিজিটাল বাংলাদেশ অভিযাত্রার অর্জন ও ভবিষ্যত গন্তব্য” নিয়ে আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পলক বলেন দেশে একটি ইনোভেশন ইকো সিস্টেম গড়ে তুলতে শিক্ষা অবকাঠামো পরিবর্তন করে অ্যাক্টিভ লার্নিং ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও সমস্যা সমাধান এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তিনি উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক ব্যবস্থাপনাকে আরো সহজ করার পরামর্শ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ সুযোগ হিসেবে নিতে হবে। এ জন্য অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ডিজিটাল ইকোনোমি গড়েতে চাই।
তিনি বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সরকারি মৌলিক সেবার ৯০ শতাংশ চলে এসেছে অনলাইনে। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই এখন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারছেন। আইটি ও আইটিইএস খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ১৫ লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর। চলতি বছরেই বাংলাদেশ ২০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করে স্থানীয় চাহিদা মেটিয়ে ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে এই খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন । ২০২৫ সালের মধ্যে এই আয় পৌঁছে যাবে ১০ বিলিয়ন ডলারে।
তিনি আরো বলেন বক্তব্যে ২০২৫,৩১ ও ৪১ সালের তিনটি ধাপ অতিক্রমের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী নীতি প্রণয়নে ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস প্লাটফর্ম বড় ভূমিকা পালন করবে ।
বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হুসাইন সামাদের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।
আলোচক হিসেবে অংশ নেন এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরি, বিডার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, ডেটাসফট ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান, এসবিকে টেকভেঞ্চার এর প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির এবং তারেক এম বরকতুল্লাহ ওয়েবিনারে নিজেদের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন।