কখনো কি ভেবে দেখেছেন বর্তমান সময়ের স্মার্টফোনগুলো ভবিষ্যতে কিরূপ আকার ধারণ করতে পারে?
দিন যত যাচ্ছে স্মার্টফোনগুলোতে অ্যাডভান্স হচ্ছে ।নিত্যনতুন ফিচারস গুলো এড করা হচ্ছে স্মার্টফোনের সাথে। তবে এর শেষ কোথায় তা হয়তো কেউ বলতে পারবে না।
তবে স্মার্টফোন সম্পর্কিত কল্প বিজ্ঞান থেকে বেশকিছু তথ্য খুঁজে পাওয়া গেছে যা থেকে অনুমান করা যায় অদূর ভবিষ্যতে স্মার্টফোনগুলোর সাথে আরো কি কি ফিচার যুক্ত হতে পারে?
এই যেমনঃ
১. আগামী ১০ বছরের মধ্যে স্মার্টফোনগুলোতে থ্রিডি হলোগ্রাম অ্যানিমেশন যুক্ত হবে। সাধারণত ক্যামেরা বা ডিসপ্লে তে থাকা পাঞ্চকে এই থ্রিডি হলোগ্রাম এনিমেশনের আউটপুট হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে ।আবার অনেক কল্পবিজ্ঞানের বই থেকে এটাও উঠে এসেছে যে, একটা সময় ছিল যখন মোবাইল ফোনকে মানুষ কেবল কথা বলার কাজে ব্যবহার করত ।তবে দৈনন্দিন জীবনে এটি দিয়ে আরো কত কি না করা যায়, ঠিক তেমনি কিছুদিন পর স্মার্টফোনের ডিসপ্লের কোন ভূমিকা থাকবে না। সম্পূর্ণটাই ভার্চুয়াল থ্রিডি হলোগ্রাম অ্যানিমেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।
২. আগামী ৫০ বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে স্মার্টফোনগুলো কম্পিউটারের জায়গা দখল করে নেবে ।আগামী ১০০ বছরের ভেতর একটি মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের সুপার কম্পিউটারের তুলনায় বেশি শক্তিশালী হবে যার ভেতর হাজার হাজার তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হবে ।
৩. আগামী ১০০ বছরের মধ্যে স্মার্টফোনে একটি পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যার যুক্ত করা হবে , যেটি হবে প্রায় প্রত্যেকটি স্মার্টফোনের একটি কম্মন ফিচারস। জেনে অবাক হবেন ,এই ফিচারটি চাইলে যে কেউ জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারেন। এখন হয়তো কথাটি হাস্যকর মনে হলেও আমরা দিনকে দিন যেভাবে স্মার্টফোনের ওপর আসক্ত হয়ে পড়ছে। যার দরুণ ১০০ বছরের মধ্যে এই কথাটি বাস্তবে পরিণত হবে না এমন কোনো যুক্তি নেই।
৪. ১০০ বছরের মধ্যে মোবাইল ফোন একটি পূর্ণাঙ্গ ডাক্তারের পরিণত হবে । এতে এক হাজারেরও বেশি মেডিকেল ফিচার যুক্ত করা হবে ।যার মধ্যে ডায়াবেটিকস ক্যালকুলেটর, ব্লাড সুগার, ব্লাড গ্রুপ ইত্যাদি নিতান্ত সাধারণ সফট্ওয়ারে পরিণত হবে। সুতরাং এখনকার দিনে ব্লাড সুগার ব্লাড গ্রুপ ক্যালকুলেটরের যে সকল সফটওয়্যার গুগোল প্লেস্টরে দেখা যায় সেগুলো অতিসত্বর বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে ।
সম্প্রতি সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করে এইচআইভি টেস্ট করার উদ্যোগে সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের “আরটো কার্পাস হেটারো ফাইলাস” নামের একটি প্রতিষ্ঠান ।
৫. আগামী দশ বছরের মধ্যে স্মার্টফোনগুলোর ট্রাফিক পুলিশের কাজ করবে। যদিও সম্প্রতি সময়ে এটি কাজ করা শুরু করে দিয়েছে তবে সেটি উন্নত দেশগুলোতে । সম্প্রতি সময়ে গুগল প্লে স্টোরে একটি পেইড অ্যাপ লঞ্চ করা হয়েছে ,যেটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রেখে তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করা যায়। তবে এর ব্যবহার খুব বেশী পরিসরে শুরু হয়নি !