বিটকয়েনের দাম এ ধাক্কায় নেমে এসেছে ৫০ হাজার ডলারের নীচে। বিটকয়েনের ওপর আসন্ন মার্কিন বাজেটের প্রভাব অনুমানের ফলে মূল্যপতন ঘটেছে প্রায় সবগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সির।
বাইডেন প্রশাসন আসন্ন মার্কিন বাজেটে করের হার পূনর্বিন্যাস করবে এবং বেশি আয়ের ব্যক্তিদের করের হার প্রায় দ্বিগুণ করা হতে পারে এমন জল্পনার ধাক্কা ক্রিপ্টোকারেন্সির গায়ে এসে লেগেছে বলে প্রতিবেদনে বলছে রয়টার্স।
বড় গুজবটি হলো, বছরে ১০ লাখ ডলারের ওপরে যারা কামাই করবেন, কর কাঠামো নতুন করে বিন্যাসের ফলে তাদের ওপর প্রায় ৩৯.৬ শতাংশ কর ধরা হতে পারে। এমন জল্পনার পরপরই বিটকয়েনের দাম নেমে আসে ৪৮ হাজার আটশ’ ৬৭ ডলারে। গেল মার্চে রকেট গতিতে দাম বাড়ার পর এই প্রথম সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ডিজিটাল মূদ্রার দাম ৫০ হাজার ডলারের নিচে নামল।
সম্ভাব্য কর পরিকল্পনা বাজারে ভালোই নাড়া দিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ঝটপট স্টক এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে নজর দিলেন। লেভি এবং বিনিয়োগ থেকে আয় রেকর্ড ছাড়াবে বলে ইঙ্গিতও মিলছে।
“প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখনই আভাস দিলেন যে আর্থিক আয়ের ওপর তিনি কর বাড়াতে আগ্রহী অমনি বিটকয়েন যেন দক্ষিণযাত্রা শুরু করল।” – বলছিলেন ওনাডা’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ্য বিশ্লেষক জেফরি হ্যালি।
“এখন সেটা আসলেই হবে কি না, সেটি পরের কথা, কিন্তু যারা বেশ কিছুদিন ধরে বিটকয়েনের কারবার করছেন তারা বেশ পুরু একটা লাভের তোষকে বসে আছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি পরিণত বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা বা কর বদলানোর বিষয়টি কিপ্টোকারেন্সি বাজারের একটি দুর্বল দিক হিসেবেই আচরণ করবে।”
এই সপ্তাহে বিটকয়েন প্রায় ১৫ শতাংশ ক্ষতিতে আছে, যদিও বছরের শুরু থেকে হিসেব করলে এর মূল্য বেড়েছে শতকরা ৬৫ ভাগ।