অপরাধ জগতে বিচরণ কারী ব্যক্তি গুলো স্বভাবতই তাদের কালো চাদর দিয়ে ঢেকে রাখে। হোক সেটা বাস্তব জগতে অথবা সাইবার দুনিয়ায়। বাস্তব জগতের অপরাধের তুলনায় সাইবার অপরাধ গুলো দিনকে দিন গুরুতর হয়ে উঠছে। এবং একই সাথে অপরাধীকে পাকড়াও করার জন্য বেশ বেগ পেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের।
বর্তমান সময়ে সাইবার দুনিয়ায় অসাধু মানুষ মূলক কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য বেশকিছু ফন্দি-ফিকির খুঁজে বের করেছে ।এই যেমন,
সাইবার সন্ত্রাস বা সাইবার হুমকি:
সাইবার সন্ত্রাস বা সাইবার হুমকি এর কনসেপ্ট বোঝা তুলনামূলক একটু কঠিন. কেননা এই কর্মকাণ্ড যারা ঘটান তারা নিজেরাই ঠিকঠাকমতো এর সংজ্ঞা টি দিতে পারেন না.
এটি কিছুটা এমন হতে পারে যে , একটি নির্দিষ্ট সার্ভার এর আওতাধীন কতগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একাউন্ট হ্যাক করার মাধ্যমে তথ্য ফাঁস অথবা গোপন তথ্য ফাঁসের হুমকি, বোমাবাজির অথবা ডাকাতি অথবা বাস্তব জীবনে কোন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড ঘটানোর পূর্ববর্তী একটি নকল পরিকল্পনা পত্র প্রদান ইত্যাদি ।ঠিক যেমন সেকেলে আমলে রাজা জমিদারদের বাড়িতে ডাকাত দেওয়ার নকল পরিকল্পনা পত্র প্রদান করা হতো ।
এবার চাঁদাবাজি করাঃ
অনৈতিক কর্মকাণ্ড হলেও সাইবার চাঁদাবাজের কনসেপ্টে কিন্তু মন্দ নয়। সাধারণত সাইবার চাঁদাবাজের ক্ষেত্রে চাঁদাবাজরা একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ভুক্তভোগী ব্যক্তিদেরকে চাঁদা চেয়ে হুমকি দেয়। আর তা না হলে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে, সকল ধরনের গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। ভুক্তভোগীকে আবার অনেক সময় third-party কোন ওয়েবসাইটের বশীভূত হয়ে চাঁদাবাজের খপ্পরে পড়তে হয় নেটিজেনদের ।
সাইবার যুদ্ধ
সাইবার যুদ্ধ নামক এই শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। অনেক সময় সাইবার যুদ্ধ কে সাইবার জিহাদ বলেও ভুষণা করা হয় । প্রথম প্রথম সাইবার সিকিউরিটির দিকে তেমন কোন নজরদারী ছিলনা কতৃপক্ষের তবে পরবর্তীতে যখন ব্যাপারটি গুরুতর হতে শুরু করে তখন টনক নাড়ে কতৃপক্ষ । এমনকি সাইবার যুদ্ধের তত্ত্বাবধানে বর্তমান সময়ে দায়িত্বরত রয়েছে আমেরিকার সামরিক বাহীনির দল । ২০০৮ এর আগস্টে রাশিয়া আবার জর্জিয়া দেশের বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত ও সুসংগত কথিত সাইবার আক্রমণ চালায়। ভয়ের বিষয় এইযে, এ ধরনের আক্রমণ ভবিষ্যতে জাতি-রাষ্ট্রের মধ্যে সমস্য সৃষ্টি করতে পারে, সাইবারস্পেসের ধারণা বদলে দিতে পারে এবং যুদ্ধপরিস্থিতির উদ্ভব ঘটাতে পারে