করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানিতে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে ওয়ালটন। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ওয়ালটন। বিশ্ববাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানি। এরই প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের (আইবিইউ) ১০ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল, ২০২১) রাজধানীর বসুন্ধরার ওয়ালটন করপোরেট অফিসে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘ওয়ালটন এক্সপোর্ট এচিভমেন্ট সেরিমনি’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে অনলাইনে যোগ দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রেজভী, পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম এবং নিশাত তাসনিম শুচি।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনারের সিইও তানভীর রহমান, রেফ্রিজারেটরের সিইও আনিসুর রহমান মল্লিক, টেলিভিশনের সিইও মোস্তফা নাহিদ হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও সোহেল রানা, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও আল ইমরান, কোম্পানি সেক্রেটারি পার্থ প্রতীম দাশ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সে সময় পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর এবং আইবিইউ প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডেপুটি ডিরেক্টর আরিফুল ইসলাম।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ওই ১০ কর্মকর্তা হলেন ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আব্দুর রউফ, রকিবুল ইসলাম, সৈয়দ আল ইমরান ও তৌসিফ আল মাহমুদ, ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর আমিনুল ইসলাম, তালেলুল আরেফিন নাদভী ও ইবনে জাবেল, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর তানভীর হোসেন, ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ সজিব এবং ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে এস এম নুরুল আলম রেজভী বলেন, বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্য বিশ্ববাজারে প্রতিনিধিত্ব করবে- এটা ছিলো আমাদের স্বপ্ন। যার সফল বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস রপ্তানির এই ধারা অব্যাহত রেখে খুব শিগগিরই বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হবে ওয়ালটন।
এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, বিশ্ববাজারে ওয়ালটন দ্রুত অগ্রসরমান ব্র্যান্ড। করোনাকালীন সময়েও ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানির সাফল্য এই বার্তা দিলো। প্রতিযোগিতামূলক দামে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য দিয়ে ওয়ালটন বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান করে নেবে।
অনুষ্ঠানে এডওয়ার্ড কিম জানান, ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ১০০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগ। লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আইবিইউর সদস্যরা।