কেউ যদি হঠাৎ করে বিপদে পড়ে তাহলে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তার অবস্থান জেনে তাকে উদ্ধার করতে পারবেন কাছের মানুষরা। আবার, নারীদের নানারকম হয়রানি থেকেও বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে মোবাইলে থাকা অ্যাপ। পাশাপাশি শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষকরা মিলে তথ্য, নোট বা উপকরণ দিয়ে সহায়তার প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে বিশেষ কোনো অ্যাপকে।
দারুণ কাজের এসব অ্যাপ তৈরি করেছে এদেশেরই নারী শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক-বিডিওএসএন এর ইএসডিজি প্রজেক্ট ও ন্যাশনাল অ্যাপস্টোর অব বাংলাদেশ বিডি অ্যাপসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অ্যাপ তৈরির প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া ৩৫ দলের মধ্যে নানা যাচাই বাছাইয়ের পর তিনটি দলেক চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় বিডিওএসএন আয়োজিত ‘ব্রিজিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া টু ইনক্রিজ পার্টিসিপেশন অব ওমেন ইন আইসিটি সেক্টর চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড স্কোপ’ শীর্ষক অনলাইন ওয়েবিনারের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর দল ওয়াচার টোয়েন্টি ফোর সেভেন, প্রথম রানার আপ হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম এর দল কোয়েরটি ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র শিক্ষার্থীদের দল নাল পয়েন্টার এক্সেপশনস।
ওয়েবিনারে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিডিওএসএনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিডিওএসএনর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বিজ-এনগেইজমেন্ট লিড বিডি অ্যাপস মো. আলতামিশ নাবিল, অ্যাপ প্রতিযোগীতার বিচারক ও বিজয়ী দলের সদস্যরা।
এসময় মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের এগিয়ে যাবার জন্য আলাদা সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। যদি সেটা আমরা করতে না পারি তবে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র পিছিয়ে যাবে। ’তোমরা পারবে’ কথাটুকু দিয়েই মেয়েদের অনেক কঠিন কাজে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব। একটু সুযোগ দিলে তারা আরো অনেক বেশি দিতে পারবে দেশকে।
আইটি খাতে মেয়েদের অংশগ্রহণ কম উল্লেখ করে মুনির হাসান বলেন, আইটি খাতে নারীদের অংশ ১৩ শতাংশেরও কম, আইটি উদ্যোক্তা ১ শতাংশেরও কম। এখন ধীরে ধীরে এর পরিবর্তন হচ্ছে। আমার মনে হয়, একাডেমির সাথে মেয়েদের যুক্ত করা গেলে ও বিভিন্ন আয়োজন এর খবর তাদের কাছে পোঁছে দিতে পারলেও এই সংখ্যাটা আরো বেড়ে যাবে।
মেয়েদের নিয়ে কর্মশালায় তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের ধরন দেখে এই সেক্টরে নারীদের আগ্রহ বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন আলতামিশ নাবিল। এমন একটি প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়ে মেয়েরাও খুব খুশি বলে জানান তিনি।
পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিডিওএসএনের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কাজী হাসান রবিন।