তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি ডিজিটাল ট্যালেন্ট তৈরির এখনি উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ এ দেশের মাটি এবং মানুষ। এর প্রতিফলন এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। করোনা মহামারি সত্ত্বেও উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর পেছনে রয়েছে সকল ক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে ভিশন ২০২১।
বৈঠকে জানানো হয় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও প্রতিমন্ত্রী আজ হুওয়ের উদ্যোগেঅনুষ্ঠিত “ডিজিটাল ট্যালেন্ট রিজিওনাল সামিটে “Cultivating a Talent Ecosystem for Inclusive digital prosperity”শীর্ষক আলোচনায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করে তিনি এ সব কথা বলেন।
সামিটটিতে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রাটিক সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক অব শ্রীলঙ্কার মিনিস্ট্রি অব টেকনোলজির সেক্রেটারি জয়ন্ত ডি সিলভা এবং নেপালের মিনিস্ট্রি অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির সেক্রেটারি হরি প্রসাদ বশ্যাল। বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, হেড অব অফিস এবং বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন বর্তমানে দেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের আয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে করতে দেশব্যাপী ৩৯টি হাইটেক প্রতিষ্ঠিত পার্ক করা হচ্ছে । চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পারদর্শী করে তুলতে দেশের ১৩৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেসালাইজড ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ৬৪ টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠিা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
জনাব পলক বলেন আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, বেসরকারি খাতের সহায়তায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন হুয়াওয়ে দেশের ডিজিটালাইজেশনে এবং তরুণ সমাজকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। তাদের সহায়তায় আমাদের তরুণ সমাজ শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই ধরনের অংশীদারিত্ব দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় আমাদের তরুণদের প্রস্তুত করবে”।
বৈঠকে জানানো হয়,নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ তরুণকে ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে সহায়তা করবে হুয়াওয়ে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পখাত সংশ্লিষ্টদের সাথে কাজ করবে।
‘এছাড়াও কালটিভেটিং এ ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম ফর ইনক্লুসিভ ডিজিটাল প্রোসপারিটি’ – এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সামিটে ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি পূরণ এবং মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে কীভাবে ডিজিটাল রূপান্তরকে প্রভাবিত করা যায়, এবং তরুণদের কীভাবে এতে আরও বেশি সংযুক্ত করা যায় সেসব নিয়ে আলোচনায় তিন দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবগণ, ইউনেস্কো বাংলাদেশ; শিক্ষকবৃন্দ, এবং আইসিটি খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিনিধিগণ সামিটে উপস্থিত হয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন ।