ভার্চুয়ালি মানুষের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করতে অপো নিয়ে এসেছে সাইবাররিয়েল এআর (অগমেন্টেড রিয়েলিটি) নামে নতুন অ্যাপ্লিকেশন। অপো এর নিজস্ব এআই ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি এই অ্যাপ্লিকেশন মানুষকে ‘অগমেন্টেড রিয়েলিটি’ এর স্বাদ দিবে। অগমেন্টেড রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ধারণাকেই আরো বাস্তব রূপ দেয়। এখানে কৃত্রিম কোনো জগৎ নয় বরং বাস্তব জগৎকেই আপনার কল্পনার জায়গা বানিয়ে দেয়া হয়।
অপো আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআাই) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি এর যৌথ সমন্বয়ে সবার জন্য ধারণক্ষম একটি প্লাটফর্ম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্যই সাইবাররিয়েল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে এসেছে অপো।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে চারগুণ বেশি গতিতে ছবি স্ক্যান করা যাবে। ঘন্টায় ১২ হাজারের বেশি ছবি স্ক্যান করতে সক্ষম এ প্রযুক্তি যেকোন ফ্ল্যাগশিপ স্টোরকে থ্রিডি রূপে পরিণত করতে এর সময় লাগে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। অপোর নিজস্ব যে এআই প্লাটফর্ম রয়েছে সেটি যেকোন ছবিকে সুন্দর করে শর্ট ফ্রেমে রিয়েল টাইম থ্রিডি’তে পরিণত করে। এছাড়া অপো নিজস্ব এআই এডিটিং টুলও তৈরি করেছে।
গত এপ্রিলে প্রথমবারের মতো অপো’র বেইজিং উকেসং এবং গুয়াংঝাং ঝেংজিয়াং প্লাজার ফ্লাগশিপ স্টোরে আগত দর্শকরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। ৪ মিটার লম্বা ফাইন্ড এক্স৩ প্রো ফোনের মাধ্যমে সাইবার রিয়েল প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা লাভ করেন যেখানে দেখা যায় আকাশ থেকে ফোনটি দর্শকদের হাতে ধীরে ধীরে পড়ছে।
ইনডোর পজিশনিং ঠিক করার জন্য অপো সাইবাররিয়েল এ বেশি কিছু প্রযুক্তি যুক্ত করেছে। এআই ও ক্লাউড কম্পিউটিং এর সমন্বয় করে অপো ৬ডিওএফ পোজ তৈরি করেছে যার মাধ্যমে দর্শক যেকোন দিক ও অবস্থান থেকে এআর ভিজ্যুয়াল দেখতে পারেন। এমনকি ৩৬০ ডিগ্রি কোণে লক্ষ্যবস্তুতে হাঁটতেও পারবেন। সর্বোপরি অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে সাইবাররিয়েল আরো বেশি শক্তিশালী এবং কর্মক্ষম।