আটটি এমন অ্যাপস গুগল প্লে স্টোর থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলি আসলে জোকার ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত। আপনার ফোনে সেই অ্যাপগুলি থাকলে বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই, এখনই দেখে নিন, সেই অ্যাপসগুলি আপনার স্মার্ট ফোনে আছে কী-না?
সম্প্রতি জোকার ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত অ্যাপগুলিকে চিহ্নিত করেছে কুইক হিল সিকিউরিটি ল্যাবস। যেকোনো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে গ্রাহকের স্মার্টফোনে ঢুকতে পারে এ ধরনের ম্যালওয়্যার। গোপনে সেই গ্রাহকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে বড়সড় ক্ষতিও করতে পারে জোকার ম্যালওয়্যার।
গ্রাহকের অনুমতি না নিয়েই যেকোনো প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানে সাবস্ক্রাইব করায় ক্ষতিকারক এই ম্যালওয়্যার। এজন্য ইউজারের অজান্তেই মোটা টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায়। সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানে সাবস্ক্রাইব করা থেকে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করা- পুরো বিষয়টাই অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সেরে ফেলে এ জোকার ম্যালওয়্যার।
এদিকে কুইক হিল সিকিওরিটি ল্যাবসের তরফে এ অ্যাপগুলি চিহ্নিত করার পরক্ষণেই গুগল প্লে স্টোর থেকে সেগুলিকে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু আপনার স্মার্টফোনে যদি এখনো সেই অ্যাপগুলি থাকে, তাহলেও সেই সব অ্যাপসের মাধ্যমেই ক্ষতি করতে পারে জোকার ম্যালওয়্যার।
জোকার ম্যালওয়্যার আক্রান্ত সেই ৮ অ্যাপসের তালিকায় রয়েছে – Auxiliary Message, Fast Magic SMS, Free CamScanner, Super Message, Element Scanner, Go Messages, Travel Wallpapers এবং Super SMS।
এই ৮ অ্যাপসের মধ্যে আপনার স্মার্টফোনে যদি কোনো একটি ইনস্টল করা থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলিকে আনইনস্টল করে দিন।
সম্প্রতি কুইক হিল এর সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অ্যাপস ব্যবহারের সময়ই নোটিফিকেশন অ্যাকসেস চাওয়া হবে গ্রাহকের কাছে। আর তারপরই প্রত্যেক নোটিফিকেশন থেকে এসএমএস ডেটা নিয়ে নেওয়া হবে গ্রাহকের অজান্তেই। আর একবার এসএমএস ডেটা নেওয়ার পরক্ষণেই কন্ট্যাক্ট অ্যাকসেসের জন্য গ্রাহককে জিজ্ঞেস করা হবে। অ্যাকসেস দিয়ে দিলেই ফোন কলের অনুমতিও চাওয়া হবে।
এরপরই এসব তথ্য মনিটর করা শুরু করবে অ্যাপের ভেকধারী সেই জোকার ম্যালওয়্যার। অ্যাক্টিভিটি যে চলছে, তার মালুমই চলতে দেবে না বিপজ্জনক এই ম্যালওয়্যার।
রিপোর্টে আরো দাবি করা হচ্ছে, ম্যালওয়্যার অথরেরা গুগল প্লে স্টোরে এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ছড়িয়ে দেয় কিছু স্ক্যানার অ্যাপস, ওয়ালপেপার অ্যাপস এবং মেসেজ অ্যাপসের মাধ্যমে। আর তার পরই ইউটিলিটি ইউজ়-কেসের জন্য জনপ্রিয়ও হয়ে যায় এ ধরনের অ্যাপগুলি। সেই কারণেই ইউজারেরা যত সম্ভব বিশ্বস্ত ডেভেলপারের তৈরি অ্যাপ ইনস্টল করলেই মঙ্গল। সূত্র- এই সময়।