অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধে বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার বা NEIR (এনইআইআর) এর কার্যক্রম বা জাতীয় এই ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকবে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র, সিম ও মোবাইলের IMEI নম্বর। বিটিআরসি বলছে, হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে গ্রাহককে করতে হবে না কিছুই। নিবন্ধিত হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই। তবে হ্যান্ডসেটটি অবৈধ হলে নিবন্ধন করতে হবে তিন মাসের মধ্যে।
দেশে মোবাইলের সিম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হলেও ব্যতিক্রম ছিল হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে। এতে অবৈধভাবে আমদানি হতো মোবাইল ফোন, রাজস্ব হারাত সরকার। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হতো আইএমইআই নম্বরবিহীন হ্যান্ডসেট। উদ্ধার করা যায় না চুরি কিংবা ছিনতাই হওয়া হ্যান্ডসেটও। এসব বন্ধে ১ জুলাই থেকে চালু হচ্ছে এনইআইআর কার্যক্রম।
এর ফলে ০১ জুলাই থেকে বিক্রয় কেন্দ্র থেকে কেনার আগে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে মোবাইল মেসেজ অপশনে গিয়ে KYDspace১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তায় জানানো হবে হ্যান্ডসেটটি বৈধ কিনা।
রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, প্রথমে যাচাই করে নিতে হবে ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে ফোনসেটটা কেনা যাবে না।
বর্তমানে গ্রাহকের হাতে থাকা হ্যান্ডসেট বৈধ কিনা তা যাচাইয়ে প্রথমে মোবাইল হ্যান্ডসেট হতে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করে হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানা যাবে।
বিদেশ থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে। তবে দশ দিনের মধ্যে নিবন্ধন না করলে সর্বোচ্চ ৩ মাস সেটটি ব্যবহার করা যাবে।
বাংলা লিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনেকেশনস অ্যান্ড সাস্টেন্যাবিলিটি আংকিত সুরেকা বলেন, ফোনগুলোকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। লকডাউনের মধ্যে সরাসরি কোনো কাস্টমার দোকানে গিয়ে এ কাজটি করা কঠিন হবে, এ জন্য আমরা বিটিআরসিকে বলতে চায় বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করতে।
মোবাইল ফোন ছিনতাই বা হারিয়ে গেলে বিটিআরসির নিয়মানুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হওয়ার কথা। কিন্তু তিন মাসের পর্যবেক্ষণকালীন সময়ে সেটি কার্যকর হবে না। এই সময়ে উপযুক্ত প্রমাণ’সহ সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে জানাতে হবে।
রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম আরও বলেন, ফোন হারিয়ে যায়, ছিনতাই হয়ে যায়, চুরি হয়ে যায় সে সময় আপনার মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাহলে এটা ব্লক করা যাবে। আর বাংলাদেশে এ ফোনটা ব্যবহার করা যাবে না।
পরীক্ষামূলক সময়ে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই হ্যান্ডসেট হস্তান্তর করা যাবে। এ সময়ের পর ফোন বিক্রি বা কাউকে দিতে চাইলে নতুন গ্রাহকের নামে পুনঃনিবন্ধন করতে হবে।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলো এবং বিটিআরসির হেল্পসেন্টার থাকবে সেখানে পুরো কাগজপত্র দেখালে সেটা চালু হবে আর না পেলে বন্ধ হয়ে যাবে।
এনইআইআর বিষয়ে যে কোনো প্রয়োজনে বিটিআরসির হেল্পডেস্ক নম্বর ওয়ান ডাবল জিরো অথবা মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ওয়ান টু ওয়ান-এ যোগাযোগ করতে হবে।