ভোলার ৭৬টি স্পটে পশুরহাট বসলেও অনলাইন প্লাটফর্মে আটটি পশুর হাট চালু রয়েছে। এখানে গত ১২ দিনে ১ হাজার ২৫৮টি গরু বিক্রি হয়েছে।
এর মধ্যে ছাগল রয়েছে ১৬৪টি। এসব পশু ৯ কোটি ৭৮ লাক ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। অন্যদিকে, অনলাইন পশুর হাটে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৩১৩টি পশুর তথ্য আপলোড দেওয়া হয়েছে। এ বছর অনলাইন এবং সরাসরি পশুর হাট মিলিয়ে ৮০৩ কোটি টাকার গরু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
এদিকে, সরাসারি পশুর হাট বসায় অনলাইনে কেনা-বেচা অনেক কম বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। জেলার সাত উপজেলায় থেকে এ বছর অনলাইনে সর্বমোট ২৬ হাজার পশুর তথ্য আপলোড দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, অতিমারি করোনার কারণে বিকল্প ব্যবস্থায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অনলাইন প্লাটফর্মে ২ সপ্তাহ আগে গরু বিক্রির জন্য অনলাইন পশুর হাট চালু করে। এ হাট চলবে আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত।
কিন্তু, এতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের তেমন সাড়া নেই। যদিও অনলাইন প্লাটফর্মে ক্রেতা বিক্রেতাদের বিশেষ করে খামারিদের ধারণা দিতে মাঠপর্যায়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের শতাধিক মাঠকর্মী কাজ করছেন।
জেলা সদরের শ্যামপুর গ্রামের কামাল হোসেন, নূর হোসেন, বাবুল ও দুলালসহ অন্যরা বাংলানিউজকে জানান, অনলাইন সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই কম, আমরা হাটেই গরু বিক্রি করছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা অনলাইনে ২৬ হাজার গরু তথ্য আপলোড দেবো। এ পর্যন্ত ২৩ হাজারের মতো আপলোড করা হয়েছে। তবে অনলাইনে বিক্রি খুবই কম। অন্যদিকে হাট চালু হওয়া সেখানেও মানুষের আগ্রহ বেশি।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেল থেকে জেলার সাত উপজেলায় ৭৬টি পশুর হাটে গরু কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। হাটগুলোতে ২২টি ভেটোনারি মেডিক্যাল স্থাপন করা হয়েছে। শুরহাট বসবে প্রতিদিন প আগামী মঙ্গলবাল (২০ জুলাই) পর্যন্ত।
হাটে গুরুর দাম বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে ক্রেতা সংকটও দেখা গেছে কিছু কিছু হাটে। এবার জেলার পশুরহাটে সবই দেশি গরুর সমাগম।
জেলায় চাহিদার বিপরীতে কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে। কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৯৫৪টি গরু। তবে জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা ১ লাখ ২ হাজার ৬০টি গরু। সেখানে চাহিদার চেয়েও প্রায় ৫ হাজার গরু বেশি রয়েছে। এ বছর ৮০৩ কোটি টাকার গরু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
করোনার কারণে বাড়তি সতর্কতা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে হাটগুলোতে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাক্সসহ অন্যন্যা উপকরণ রাখা হয়েছে। করোনার কারনে বিধি-নিষেধ মানতে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। গরুর সঙ্গে গড়ে ২-৩ দিন ক্রেতা-বিক্রেতারা হাটে উপস্থিত থাকতে পারবেন। আর সবাইকে ৩ ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।