গুগল প্লে-স্টোর ও আইফোনের অ্যাপস্টোরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক ভুয়া অ্যাপ। এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করে দুষ্কৃতকারীরা জালিয়াতি করছেন। সম্প্রতি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের এক তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। এ প্রসঙ্গে সেখানকার ডেপুটি কমিশনার অন্বেষ রায় বলেছেন, দুষ্কৃতকারীরা গুগল প্লে-স্টোর ও আইফোনের অ্যাপস্টোরের একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বড় বড় এই প্ল্যাটফর্মগুলোর সিকিউরিটি সিস্টেম ভেদ করে কীভাবে প্রতারণার জাল বিস্তার করেছে দুষ্কৃতকারীরা? প্রশ্ন উঠেছে সবার মনে। এ ব্যাপারে অনেক আইনবিশারদ বলেন, ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে গুগল প্লে-স্টোর কিংবা অ্যাপলের অ্যাপস্টোরে অনেক ভুয়া অ্যাপ ঢুকে যাচ্ছে। ফলে ব্যবহারকারীরা বিভ্রান্ত ও প্রতারিত হচ্ছেন। তাছাড়া আজকাল বেশিরভাগ ফোনেই একাধিক অ্যাপ রাখেন ব্যবহারকারীরা।প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা গুগল প্লে-স্টোর বা আইফোনের অ্যাপস্টোরে থাকা এসব ভুয়া অ্যাপ চেনার কিছু উপায় বলে দিয়েছেন।
ভুয়া অ্যাপ চিনবেন কীভাবে?
১. অ্যাপের নাম এবং ডেভেলপারের নাম দেখে নিন।
২. মাঝেমধ্যে কোনো অ্যাপের নাম লিখে সার্চ করলে একই নামে তৈরি করা একাধিক অ্যাপ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে অ্যাপের নাম ও ডেসক্রিপশনে বানান ভুল আছে কি না সেটি ভালোভাবে খেয়াল করুন।
৩. গুগল প্লে-স্টোর কিংবা অ্যাপল অ্যাপস্টোর থেকে যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোডের আগে ভালোভাবে এর ডাউনলোড, রিভিউ ও রেটিং দেখে নিন।
৪. অ্যাপটি কবে প্রকাশ করা হয়েছে সেটি দেখুন। এরপর দেখুন স্ক্রিনশটগুলো। এগুলো যদি ঠিকভাবে না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নেবেন সেটি ভুয়া অ্যাপ।
এই নিয়মগুলো ছাড়াও অ্যাপ ডাউনলোডের সময় আপনার কাছে কী কী পারমিশন চাওয়া হচ্ছে সেটি ভালোভাবে খেয়াল করবেন। যখনই দেখবেন আপনার অপ্রয়োজনীয় ক্যামেরা, অডিও, ভিডিও, লোকেশন এবং ফোন কলের ব্যাপারে পারমিশন চাওয়া হচ্ছে, তখনই বুঝে নেবেন সেটি ভুয়া অ্যাপ। ভুল করেও কখনো এসব পারমিশন দেবেন না। তাহলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে।