স্পেসএক্স-এর ‘ফ্যালকন হেভি’ রকেটে চড়ে বৃহস্পতির চাঁদ ‘ইউরোপা’-তে যাবে নাসার ‘ইউরোপা ক্লিপার’ মহাকাশযান। বরফ আচ্ছাদিত ‘ইউরোপা’ জীবন ধারণের উপযোগী হতে পারে বলে মনে করেন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের অনেকে। সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে নাসার ‘ইউরোপা ক্লিপার’ মিশন থেকে।
নাসা বৃহস্পতির চাঁদে স্পেস প্রোব পাঠানোর কথা ভাবছিলো অনেক দিন ধরেই। সেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে ২০১৯ সালে এসে। সম্প্রতি মিশনের দিনক্ষণ জানিয়েছে নাসা। ২০২৪ সালের অক্টোবরে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্স-এর ‘ফ্যালকন হেভি’-তে চড়ে যাত্রা শুরু হবে ‘ইউরোপা ক্লিপার’-এর।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট জানিয়েছে, এই প্রকল্পে স্পেসএক্স-এর রকেট ব্যবহারের ফলে নাসার খরচ হবে ১৭.৮ কোটি ডলার। নাসার নিজস্ব ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ (এসএলএস) রকেটের খরচের সঙ্গে তুলনা করলে ‘ফ্যালকন হেভি’-র পেছনে খরচ অনেক কম মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির।
প্রাথমিক অবস্থায় নাসাকে এসএলএস রকেট ব্যবহার করতে চাপ দিচ্ছিল মার্কিন কংগ্রেস। ওই সময়ে একটি এসএলএস রকেটের পেছনে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হবে বলে ধারণা করেছিলো হোয়াইট হাউজ। অন্যদিকে ‘ইউরোপা’-র উদ্দেশ্যে যাত্রা পথে শুক্র গ্রহের মাধ্যাকর্ষণের উপরও নির্ভর করতে হবে এসএলএস রকেটকে, যা পুরো মিশনকে আরও জটিল করে তোলে। এ ছাড়াও এসএলএস রকেট মডিফিকেশনের পেছনে আরও একশ’ কোটি ডলার খরচ করতে হবে বলে জানিয়েছিলো নাসা।
সেই তুলনায় এসএলএস রকেটের বদলে স্পেসএক্স-এর ‘ফ্যালকন হেভি’ রকেট ব্যবহার করলে খরচ ও কার্যক্রমের জটিলতা কমে আসবে অনেকাংশে।
২০২৪ সালের অক্টোবরে যাত্রা শুরু করতে পারলে, ‘ইউরোপা ক্লিপার’ বৃহস্পতির কক্ষপথে পৌঁছাবে ২০৩০ সালের এপ্রিল মাসে। ইউরোপা’র ভূ-পৃষ্ঠের হাই-রেজুলিউশন ছবি তুলবে নাসার স্পেস প্রোব। বৃহস্পতির ওই চাঁদের গঠন থেকে শুরু করে, ভূতাত্বিক পরিস্থিতি, বরফের গভীরতা, ভূ-পৃষ্ঠের নিচে লুকানো জলাধার এবং এর লবনাক্ততার হার সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চালাবে ‘ইউরোপা ক্লিপার’।