সম্প্রতি হুয়াওয়ে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তাদের স্মার্টফোন ব্যবসার কণ্ঠরোধ করলেও তারা হার মানবে না এবং একটি সময়ে গিয়ে স্মার্টফোন শিল্পের ‘সিংহাসন’ ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে হুয়াওয়েকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। প্রতিষ্ঠানটিকে সে সময় রপ্তানি কালোতালিকাভুক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্রযুক্তি যাতে হুয়াওয়ে ব্যবহার না করতে পারে, সে পদক্ষেপ নেন।
গোটা বিষয়টি প্রভাব ফেলে হুয়াওয়ের নিজস্ব চিপ নির্মাণ সক্ষমতায় এবং বাইরের বিক্রেতাদের কাছ থেকে উপাদান সংগ্রহে।
“সবাই জানেন যে ফোন চিপের উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন যা আকারে ছোট এবং কম শক্তি খরচ করে। হুয়াওয়ে এটি নকশা করতে পারে, কিন্তু কেউ এটি তৈরিতে আমাদের সহায়তা করতে পারছে না: আমরা আটকে গেছি।” – সম্প্রতি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন হুয়াওয়ে চেয়ারম্যান গুয়ো পিঙ।
পিঙ সমস্যাটিকে সমাধানযোগ্য মনে করছেন বলেই উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। তিনি বলেছেন, “মোবাইল ফোন খাতে হুয়াওয়ে উপস্থিতি বজায় রাখবে এবং চিপ নির্মাণে ক্রমাগত উন্নতির মাধ্যমে একটি সময়ে স্মার্টফোন সিংহাসনে ফিরে আসবে।”
সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন বিক্রেতার স্থানটি দখলে রেখেছিল হুয়াওয়ে। কিন্তু গত প্রান্তিকে নিজ দেশ চীনের শীর্ষ পাঁচ স্মার্টফোন বিক্রেতার তালিকা থেকেই ছিটকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস বলছে, প্রায় সাত বছরেরও বেশি সময় পর এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে হুয়াওয়ে।
নভেম্বরে নিজেদের ‘লোয়ার-এন্ড’ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড বিক্রি করে দিয়েছে হুয়াওয়ে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ব্যবসা সচল রাখতেই পদক্ষেপটি নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে হুয়াওয়ের আয় কমেছে ২৯ শতাংশ। এখন পর্যন্ত আয়ের দিক থেকে এটাই সবচেয়ে বড় ধাক্কা প্রতিষ্ঠানটির জন্য। তাদের ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স শাখার আয় ৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার একশ’ কোটি ডলারে। হুয়াওয়ের ফোন ব্যবসা এ শাখার-ই অংশ।