যুক্তরাজ্যের গ্রাহকদেরকে এ সপ্তাহ থেকে বিটকয়েন ক্রয়, বিক্রয় এবং সংরক্ষণ করতে দেবে পেপাল হোল্ডিংস ইনকর্পোরেটেড। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রথমবারের মতো নিজেদের ক্রিপ্টোকরেন্সি সেবার বিস্তার ঘটালো প্রতিষ্ঠানটি।
পেপালের এই পদক্ষেপটি অন্যান্য মূল ধারার প্রতিষ্ঠানকে নতুন সম্পদ শ্রেণি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে তুলতে পারে বলে মন্তব্য করেছে রয়টার্স।
গোটা বিশ্বে পেপালের মাসিক সক্রিয় অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এখন ৪০ কোটি ৩০ লাখের বেশি। ফলে, ভোক্তাকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে প্রবেশের সুযোগ দেয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় মূলধারার আর্থিক প্রতিষ্ঠান এটি।
এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় ও বিক্রয়ের সুবিধা নিয়ে হাজির হয় পেপাল। ডিজিটাল কয়েন ব্যবহার করে ভোক্তা যাতে তাদের নেটওয়ার্কের লাখো বিক্রেতার কাছ থেকে কেনাকাটা করতে পারেন, পরবর্তীতে সে সুবিধাও নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যান হোসে ভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা, নতুন সম্পদ শ্রেণিতে তাদের আচমকা প্রবেশ বৈশ্বিকভাবে ভার্চুয়াল কয়েনের ব্যবহারে উৎসাহ যোগাবে। এ ছাড়াও কর্পোরেশন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক তৈরি করতে পারে এমন ডিজিটাল কারেন্সির জন্য তাদের নেটওয়ার্ককে প্রস্তুত করবে।
“সমর্থন যোগাতে এবং ভবিষ্যত বৈশ্বিক অর্থ ও বাণিজ্যে ডিজিটাল কারেন্সি যে ভূমিকা পালন করবে সেটির কাঠামোতে অবদান রাখতে, যুক্তরাজ্যে, এবং গোটা বিশ্বেই নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” – এক বিবৃতিতে বলেছেন পেপালের ক্রিপ্টো ও ডিজিটাল কারেন্সি বিভাগের ব্লকচেইন মহা ব্যবস্থাপক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হোসে ফার্নান্ডেজ দ্যো পন্টে।
যুক্তরাজ্যের বাজারে পেপালের সেবা প্রতিযোগিতায় নামবে কয়েনবেইজ গ্লোবাল ইনকর্পোরেটেডের মতো বিদ্যমান ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ এবং রেভোলাট -এর মতো ফিনটেক স্টার্টআপের সঙ্গে।
অনলাইন পেপাল ওয়ালেট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা ‘বিটকয়েন’, ‘ইথার’, ‘লাইটকয়েন’ এবং ‘বিটকয়েন ক্যাশ’ কিনতে পারবেন।
পেপালের ঘোষণাটি এমন একটি সময়ে এলো যখন একদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সির দর বাড়ছে, অন্যদিকে বহু প্রতিষ্ঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজ গ্রাহকদের (ভোক্তা ও প্রতিষ্ঠান) ডিজিটাল সম্পদে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে।