ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি ডিভাইস বা ভিআর অনেকের কাছে কেবল একটি বিনোদন বা গেইমবান্ধব প্রযুক্তি হলেও আজকাল নানামুখী গুরুত্বপূর্ণ কাজে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ভিআর প্রযুক্তি দাপ্তরিকভাবে কর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে কাজে আসবে। সম্প্রতি উদ্ভাবিত একটি ভিআর প্রোগ্রামে বেশ কিছু উদ্ভাবণ বা প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে, যা কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া, সাক্ষাৎকার, প্রশিক্ষণ এমনকি জটিল যান্ত্রিক কার্যক্রমেও সহায়তা করবে।
অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্লাটফর্ম ইমার্সের প্রধান নির্বাহী টম সাইমন্ডস জানান, ভিআরের ব্যবহারে একটি প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ছাড়াও নানামুখী সুবিধা পেতে পারে। যেমন- বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজের জটিল মূল্যায়ন ব্যবস্থাপনা। এর জন্য সেই কর্মীকে বিমানে চেপে বড় কর্তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের দরকার হবে না। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিজাইনড ফর এমপ্লয়মেন্ট (এআইডিই) পাইলট স্কিম প্রোগ্রাম প্রকল্পে অংশ নিয়েছিলেন অভিজ্ঞ মার্কিন মেরিন সেনা ট্রিস্টান কার্সন।
ইনস্টিটিউট ফর ভেটেরান অ্যান্ড মিলিটারি ফ্যামিলির জন্য এই প্রশিক্ষণটির আয়োজন করেছিল ইউনিভার্সিটি অব সিরাকস। তার মতে, মিলিটারি জীবনে দিনের কাজগুলা নির্ধারিত। একজন জানেন, আজ তার কী কী করতে হবে। কিন্তু মিলিটারি জীবন থেকে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা অনেকটাই ভিন্ন। এ রকম দৈনন্দিন অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও ব্যবস্থাপনার জন্য ভিআর প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। ওকুলাস রিফ্ট হেডসেট (ভিআর) ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯টি সামরিক ঘাঁটির আদ্যপান্ত, সেখানকার সৈন্যদের দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে বিশদ বর্ণনার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ভার্চুয়াল ইন্টারভিউ কিভাবে নেয়া হয়, সেটার ধারণাও দেওয়া হয়। এই প্রযুক্তিতে “জারগন অ্যানালাইজার” যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রশিক্ষণার্থীদের ব্যবহৃত শব্দভাণ্ডার বা শব্দ চয়নের প্রেক্ষিতে স্নায়বিক দুর্বলাবস্থা বা দ্বিধা সনাক্ত করা সম্ভব হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেন ব্রায়ান রেডলিফ। তিনি সাইবার ভেটস নামের একটি প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন। তাছাড়া তার আছে ৩১ বছর মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা। তিনি এই প্রযুক্তি সম্পর্কে বলেন, “ধরুন, আপনি (কথোপথন বা সাক্ষাৎকারে) কতগুলো অনর্থক কথা কিংবা মিলিটারি পরিভাষা ব্যবহার করেছেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি এর পুরো বিবরণী পেয়ে যাবেন।