তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে চীনের শেনজেনে অবস্থিত এর প্রদর্শনী কেন্দ্র ডারউইন হলে আজ একটি বিশেষ ভার্চুয়াল ট্যুরের আয়োজন করেছে।
দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ২৫ জন অধ্যাপকের অংশগ্রহণে এই ট্যুর আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের জনসংযোগ ও যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক কার্ল ইউয়িং।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে একটি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুযোগ এবং সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরার লক্ষ্যেই এ ভার্চুয়াল ট্যুরের আয়োজন করা হয়। ট্যুর চলাকালীন অংশগ্রহণকারীগণ স্মার্ট বিশ্ব গড়ে তুলতে গ্রীন পাওয়ার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ও মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার মত প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক ও ভবিষ্যত-বান্ধব প্রযুক্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করেন।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “আইসিটির মাহাত্ম্যই হলো, এটি সমাজকে নানাভাবে ক্ষমতায়ণ করতে পারে। বিশ্বব্যাপী আইসিটি সল্যুশন ও ইক্যুপমেন্টের শীর্ষস্থানীয় সরবরাহকারী হিসেবে হুয়াওয়ের সুযোগ রয়েছে একটি সম্পূর্ণ কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট পৃথিবী তৈরি করার। এবং এটা অনুপ্রেরণাদায়ক যখন আমরা দেখলাম হুয়াওয়ে এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আজ যে উন্নত প্রযুক্তিগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি তার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রিকে উন্নত ব্যবস্থাপনা ও আরও উন্নত পণ্য উৎপাদনে সাহায্য করার। অন্যদিকে টেক-ফর-অল’এর অধীনে প্রতিষ্ঠানটির সামাজিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পগুলোরও প্রশংসা করতেই হবে”।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের জনসংযোগ ও যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক কার্ল ইউয়িং বলেন, “হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে যে, সকল উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রমের মূখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের জীবনধারা উন্নত করা। গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে আমাদের বহু বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলাফলস্বরুপ আমাদের সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে। আইসিটির সাহায্যে প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা এখন আমাদের ভবিষ্যত ও ব্যবসায়িক ধারা তৈরি করতে পারি” ।
বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আশিকুর রহমান, বলেন, “বিশ্ব এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলোর সর্বোচ্চ সুবিধাদি আহরণ করছে। বর্তমান সময়ে আমরা এসব প্রযুক্তির যেসব ব্যবহার দেখছি তা সত্যিই অসাধারণ। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে ফাইভজি সেবা চালু হবে, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদেরকে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে বাংলাদেশে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের জন্য তাদের সেরা প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করছে”।
চট্টগ্রাম প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েটের) ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, “চমৎকার এ ট্যুরের আয়োজন করার জন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ। এর মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের প্রযুক্তির সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে পেরেছি, সেই সাথে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির বাস্তব জীবনের ব্যবহার সম্পর্কে শেখানোর সময় এটি আমাদের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখবে”।
অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সমাপণী বক্তব্যের পর হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের জনসংযোগ ও যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক কার্ল ইউয়িং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রতিবছর হুয়াওয়ে এর রাজস্বের ১০ শতাংশেরও বেশি গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ করে। শুধু ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটি এ খাতে মোট আয়ের ১৫.৯ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে, যেখানে ১০ লাখেরও বেশি লোক কাজ করছে।
জনগণের জন্য প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বিভিন্ন সিএসআর প্রোগ্রামের মাধ্যমে সমাজে অবদান রেখে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের স্বপ্ন পূরণ করতে স্থানীয়ভাবে শীর্ষস্থানীয় বিশ্বব্যাপী আইসিটি সল্যুশন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে গত ২১ বছর ধরে দেশের আইসিটি খাত, টেলিকম অপারেটর ও স্থানীয় অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।