ব্যবহারকারীদের জন্য পরিবেশবান্ধব তথ্যসেবা সুবিধা নিয়ে এল গুগল। গুগলের সার্চ অপশনে এখন থেকে এ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে ব্যবহারকারীরা আগের তুলনায় আরো টেকসই সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হবেন। পরিবেশগত টেকসই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অ্যালফাবেট মালিকানাধীন কোম্পানিটির পদক্ষেপগুলোর অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা হচ্ছে। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ ডটকম।
এক ব্লগ পোস্টে গুগল জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর কোনো দূরবর্তী হুমকি নয়। এটি এখন আমাদের স্থানীয় ও ব্যক্তিগত হুমকিতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে দাবানল, বন্যা ও অন্যান্য প্রতিকূল আবহাওয়া ক্রমাগতই বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের স্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আমাদের একত্রে বসবাসের পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলছে। গুগল ও অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই এমনটা জানান। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এমন হুমকি মোকাবেলায় আমাদের জরুরি ও অর্থবহ সমাধান প্রয়োজন।
গুগলের দাবি অনুসারে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৭ সালে তারা প্রথম কার্বন নিরপেক্ষ কোম্পানি হিসেবে নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। ২০১৭ সাল নাগাদ তারা তাদের ব্যবহূত জ্বালানির শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত থেকে সংগ্রহ করে থাকে। পাশাপাশি ২০৩০ সাল থেকে তারা দিনের পুরোটা সময় কার্বনমুক্ত জ্বালানি ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
বর্তমানে পরিবেশবান্ধব পণ্যগুলো মূলধারায় যুক্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলায় এবং এর অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব এড়াতে মানুষ আরো সচেতন হচ্ছে।
গুগলের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের ফ্লাইট সার্ভিস-সংক্রান্ত পরিষেবায় কার্বন নিঃসরণজনিত সব তথ্য প্রকাশ করবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের প্রতি সিটের বিপরীতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ও অন্যান্য কার্বনবান্ধব বিকল্পগুলো সহজেই খুঁজে পেতে সাহায্য করা হবে। পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিয়ে পদক্ষেপস্বরূপ হোটেলগুলো দ্বারা বর্জ্য হ্রাসে পানি সংরক্ষণের তথ্য, পরিবেশ বেঞ্চমার্ক সাইট গ্রিন কি অথবা আর্থচেকের দ্বারা সার্টিফিকেশনের তথ্য প্রদর্শন করা হবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ বাছাই করতে আরো সুবিধা উপভোগ করবেন।