চলমান হুয়াওয়ে কানেক্ট ২০২১ অনলাইন সম্মেলনে সম্প্রতি হুয়াওয়ে এর ক্লাউডক্যাম্পাস ৩.০ সল্যুশনে চারটি আপগ্রেডের ঘোষণা দিয়েছে। অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা গ্রহণে সক্ষম করে তুলতে এগুলো আরো বেশি সাহায্য করবে। সম্মেলনটি এ মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে।
হুয়াওয়ে তাদের ক্লাউডক্যাম্পাস ৩.০ সল্যুশনে যে চারটি নতুন আপগ্রেড আনা হয়েছে সেগুলো হলো – অল-নিউ ওয়াই-ফাই ৬ এপিএস, ‘সোলার সিস্টেম’ ক্যাম্পাস সুইচ, এন্টারপ্রাইজ-ক্লাস ‘ক্লাউড অন-র্যাম্প’ কনভার্জড গেটওয়ে এবং ইনটেলিজেন্ট অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স (ওএন্ডএম) প্র্যাকটিস।
ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), ওয়্যারলেস, ক্লাউড ও আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) মতো অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ও উন্নত ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এ সম্পর্কে হুয়াওয়ের ডেটা কমিউনিকেশন প্রোডাক্ট লাইনের ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক ডোমেইনের প্রেসিডেন্ট ড. লি শিং বলেন, “বর্তমান যুগে সবকিছুই ইনটেলিজেন্ট উপায়ে সংযুক্ত হচ্ছে। আর এজন্য এন্টারপ্রাইজগুলোর বিজনেস ইন্টেলিজেন্সে এবং তাদের ডিজিটাল সেবা প্রদানে সবসময় উচ্চ মানসম্পন্ কানেকশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “যখন সবাই ডিজিটালের দিকে এগোচ্ছে, এ সময় প্রতিটি এন্টারপ্রাইজেরই অভিজ্ঞতা কেন্দ্রিক ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে, যা মানুষ ও সবকিছুর পাশাপাশি অফিস ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে সংযুক্ত করবে। তাহলেই এন্টারপ্রাইজগুলো শিল্পক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে পারবে।”
ডাইনামিক-জুম স্মার্ট অ্যান্টেনা, এআই রোমিং ও ইনটেলিজেন্ট মাল্টিমিডিয়া স্কেজুলিং – এই তিনটি উদ্ভাবনী ওয়্যারলেস ক্যাপাবিলিটিস এন্টারপ্রাইজগুলোকে নিরবচ্ছিন্ন এর অভিজ্ঞতা প্রদানে একটি সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম করে তুলবে। এ সক্ষমতার মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজগুলো একটি অল-গিগাবিট নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবে যাতে ‘জিরো ওয়েটিং’ ইউজার অ্যাক্সেস, রিমোট ইন্টারঅ্যাকশন ও ফাইল ট্রান্সফার সুবিধা পাওয়া যাবে।
ক্লাউডক্যাম্পাস ৩.০ সল্যুশনের আরেকটি আপগ্রেড হলো হুয়াওয়ের ‘সোলার সিস্টেম’ – যা এন্টারপ্রাইজগুলোকে ইন্টেলিজেন্ট বিল্ডিং -এর জন্য একটি সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তৈরিতে সহায়তা করবে। এর ফলে ১০জিই ওয়্যারলেস এপিএস’এ সহজ অ্যাক্সেস পাওয়া যাজাব এবং বেশিসংখ্যক নেটওয়ার্ক স্থাপন এর পর্যন্ত ও খরচটি কমিয়ে আনবে। শুধু তাই নয়, হুয়াওয়ের নতুন নেটইঞ্জিন এআর৬৭১০ এ পাওয়া যাবে দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য ক্লাউড অ্যাক্সেসের নিশ্চয়তা। পাশাপাশি, ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক ওঅ্যান্ডএম দক্ষতা উন্নত করতে ও সম্পূর্ণ লাইফসাইকেলে অভিজ্ঞতা বিস্তৃত করতে হুয়াওয়ে এর আইমিস্টার এনসিই -তে এআই সক্ষমতাও যুক্ত করেছে।
গত কয়েক বছরে ওয়াই-ফাই ৬ এন্টারপ্রাইজ মার্কেটে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে, এটি এখনও ১০ এমএস এর চেয়ে কম আল্ট্রা-লো ল্যাটেন্সির চাহিদা পুরোপুরি পূরণ করতে পারে না। এ সমস্যা সমাধানে হুয়াওয়ে ক্রমাগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে ওয়াই-ফাই ৬ কে ছাড়িয়ে ফিউচার-প্রুফ ওয়াই-ফাই ৬ অ্যাডভান্স প্রযুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক চালু করেছে, যা ওয়াই-ফাই এর ব্যবহারকে ওয়ার্কপ্লেস থেকে বিস্তৃত করে উৎপাদনক্ষেত্র পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
ওয়াই-ফাই ৬ অ্যাডভান্স প্রযুক্তি আর্কিটেকচারের ওপর ভিত্তি করে ডব্লিউএলএএন সল্যুশন উন্নত করতে হুয়াওয়ে আরও ইন্ডাস্ট্রি ইকোসিস্টেম পার্টনারদের সাথে কাজ অব্যাহত রাখবে। হুয়াওয়ের ক্লাউডক্যাম্পাস সল্যুশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন – https://e.huawei.com/en/solutions/business-needs/enterprise-network/campus-network ।