অবসর কাটাতে গান যাদের নিত্যসঙ্গী তাদের কাছে ইয়ারফোনের বা হেডফোনের গুরুত্ব অনেক বেশি। ঘরে বাইরে মোবাইলের সঙ্গে ইয়ারফোন ব্যাগে রাখেন অনেকেই। গান শোনার পাশাপাশি কথা বলতেও কাজে লাগে যন্ত্রটি। তবে হেডফোন ও ইয়ারফোন দুটিই গান শোনার কাজে ব্যবহার হলে দুটি কিন্তু এক জিনিস নয়।
আমরা অনেকেই আছি, যারা হেডফোন ও ইয়ারফোন কোনটা কী সেটা গুলিয়ে ফেলি। দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। মোটেই এরা একই জিনিস নয়। ইয়ারফোন এবং হেডফোনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো এদের চেহারা। এছাড়াও আর অনেকগুলো অমিল রয়েছে এদের মধ্যে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হেডফোন ও ইয়ারফোনের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে-
ইয়ারফোন
> ইয়ারফোন হলো মূলত যেগুলো কানের মধ্যে রেখে, গান শোনা বা এই ধরনের কাজ করা হয়।
> ইয়ারফোন এর সঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মাপের তার লাগানো থাকে এবং এই তারের মাথায় ৩.৫ মিলি মিটার এর একটি অডিও জ্যাক থাকে যেটা কোনো একটা অডিও ডিভাইসে ইনপুট করতে হয়।
> তারের দুই পাশে কানে লাগানোর জন্য দুইটা মিনি স্পিকার থাকে এবং এটির মাথায় কুশন বা রাবার লাগানো থাকে যাতে কানের জন্য আরামদায়ক হয়।
> কানের মাপ অনুযায়ী এই কুশনের সাইজ বানানো হয় যাতে সহজে ফিট হতে পারে। সিলিকন, রাবারসহ বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল দিয়ে কুশন তৈরি করা হয়।
> ইয়ারফোন এর মাঝ বরাবর একটা ভলিউম বাটনসহ মাউথ পিচ বা মাইক্রোফোন লাগানো থাকে যাতে মোবাইল কল ও করা যায়।
> বর্তমানে বাজারে জ্যাক ছাড়াই ইয়ারফোন পাওয়া যায়। এদের কে ওয়ারলেস ইয়ারফোন বলে। এগুলো সাধারণত ব্লুটুথের সাহায্যে ব্যবহার করা হয়।
> ব্যাটারি চার্জ করতে হয় নির্দিষ্ট সময় পরপর। এ ধরনের ইয়ারফোনেও নিজের কানের মাপ অনুযায়ী ইয়ার বাড লাগিয়ে তা ব্যবহার করা যায়।
> ইয়ারফোন পকেটে বহনযোগ্য।
> তবে ইয়ারফোনের সবচেয়ে অসুবিধার ব্যাপার হচ্ছে বেশিক্ষণ কানে ধরে থাকা যায় না। এতে কান ব্যথা হয়ে যায় অল্পসময়েই।
হেডফোন
> হেডফোন হলো যেটা কানের কোঠরে না লাগিয়ে কানের উপরে দিয়ে অডিও শোনা হয়।
> হেডফোনেও ইয়ারফোনের মতো তার লাগানো থাকে। আবার ওয়ারলেসও চালানো যায়।
> তবে ইয়ারফোনের মতো কুশন ব্যবহার করা হয়না। তার বদলে এটাতে থাকে ফোম এর একটা গোলাকার গ্রিপ এবং দুইপাশের ইয়ারবাডের মাঝে আটকে রাখার জন্য একটা হ্যান্ডেল থাকে। যাতে এটি সহজেই মাথার উপর দিয়ে কানে লাগানো যায়।
> হেডফোনের নয়েজ ক্যান্সেলেশন ভালো হয়।
> যারা বেশি ঘামে তাদের জন্য হেডফোন ব্যবহার করা কষ্টকর। অনেকসময় ঘামের কারণে বাডসগুলো নষ্ট হয়ে যায় খুব দ্রুত।