নিজেদের সার্ভার ব্যবসা বিক্রি করে দেয়ার কথা চালাচালি করছে হুয়াওয়ে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টেলের কাছ থেকে প্রসেসর সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটির। খবর টেক রাডার।
বিষয় সম্পর্কে অবগত কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সরকার-সমর্থিত এক ক্রেতাসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির একটি কনসোর্টিয়ামের কাছে নিজেদের এক্স৮৬ সার্ভার ব্যবসা বিক্রির আলোচনা চালাচ্ছে হুয়াওয়ে।
কী পরিমাণ অর্থে হুয়াওয়ে তাদের সার্ভার ব্যবসা বিক্রি করতে চাচ্ছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে তা কয়েকশ কোটি ইউয়ান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত আলোচনায় এগিয়ে থাকা কোম্পানিটি হচ্ছে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান হেনান ইনফরমেশন ইন্ডাস্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট। শুরু থেকেই হুয়াওয়ের সার্ভার ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে ছিল এ প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে এটা স্পষ্ট নয় রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত এ প্রতিষ্ঠানটি নাকি ভোক্তা ইলেকট্রনিকস নির্মাতা হুয়াকিন টেকনোলজি বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে অধিগ্রহণের চেষ্টা করছে নাকি একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করে ক্রয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। গত বছর হুয়াওয়ে তাদের সাবসিডিয়ারি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনর বিক্রি করে দেয়। তখন তা কিনে নিয়েছিল শেনঝেন সরকারের নেতৃত্বে গঠিত একটি কনসোর্টিয়াম।
স্মার্টফোন বাজারে একটি প্রধান শক্তি হয়ে দাঁড়াচ্ছিল হুয়াওয়ে। এমনকি বেশ কয়েকটি বাজারে স্যামসাং ও অ্যাপলের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছিল শেনঝেনভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যয়ে পড়ে হুয়াওয়ে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় চিপ সংগ্রহ থেকে বিভিন্ন উপকরণ ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ে তাদের। এতে বেশ কয়েকটি পণ্য তৈরি বন্ধ করাসহ অনেক দেশে স্মার্টফোন বিক্রি ও ফাইভজি নেটওয়ার্ক বিক্রি বন্ধ করে দেয় হুয়াওয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে হুয়াওয়ের চিপ ব্যবহার মার্কিন নিরাপত্তার জন্য হুমকি দাবি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এতে কোয়ালকম ও ইন্টেলের মতো কোম্পানি হুয়াওয়ের কাছে বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে হুয়াওয়ের ফাইভজি স্মার্টফোন ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ে। অথচ এ খাতে বড় অংকের বিনিয়োগ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছিল চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটি।