মোবাইল ফোনে সোনা থাকে। সোনা বিদ্যুতের সুপরিবাহী হওয়ায় মোবাইলে তা ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে সহজে সোনার ক্ষয় হয় না। এতে মরচেও ধরে না। এই সব কারণেই মোবাইল ফোনের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) বোর্ডের ছোট্ট কানেক্টারগুলিতে সোনা ব্যবহৃত হয়। এটা ঠিক যে, খুবই সামান্য সোনা থাকে। একটা ফোন থেকে ওই যৎকিঞ্চিৎ সোনাই সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু তা দিয়ে চলে কোটি কোটি টাকার কারবার। মোবাইল ফোনের মতো, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের আইসিতেও সোনা ব্যবহৃত হয়। সে সব থেকেও সংগ্রহ করা যায় সোনা।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে এই সব বাতিল ইলেকট্রনিক সামগ্রী থেকে সোনা বার করার। তবে এ ক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, অনেক যন্ত্রপাতি না লাগলেও নানা রাসায়নিক ব্যবহার করতে হয়। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, সায়ানাইডের মতো বিষাক্ত রাসায়নিকও ব্যবহার করতে হয়।
ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে সোনার মতো দামি ধাতু বের করা কেন দরকার, তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=2xWcnCz7CsY
ব্রিটেনের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এর ফলে খনি থেকে সোনা উত্তোলন কমবে। এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড বাড়বে। ওই গবেষণাতেই একটি সহজ পদ্ধতি বের করা হয় যাতে বাতিল ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে সোনা সংগ্রহের ঝুঁকি অনেকটা কম। ওই পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ৩০০ টন সোনা সংগ্রহ করা হয়।
তবে এই কাজ করার আগে রাবারের গ্লাভস, রাবারের অ্যাপ্রন, ভালো গগল্স ব্যবহার করা উচিত। কারণ গবেষকরা যে যৌগ তৈরি করেছেন তাতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, মিউরিয়াটিক অ্যাসিড, মিথাইল হাইড্রেটের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় বলে জানা গেছে।
মোবাইল ফোন, টিভি বা কম্পিউটারের যে ভেতরের ছাপানো সার্কিট বোর্ডেই থাকে সোনা, রূপাসহ নানা ধাতু। প্রথমে একটি তরল যৌগের মধ্যে ওই সার্কিট বোর্ড ভিজিয়ে রাখতে হবে। সব ধাতু বোর্ডটি থেকে আলাদা হয়ে যাবে। এর পরে আরও একটি তরল ব্যবহার করে সোনাকে আলাদা করা যায়।
সূত্র: আনন্দবাজার।