ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘আগামীর বিশ্ব হবে প্রযুক্তিনির্ভর। শুধুমাত্র পাঠ্যবই বা গতানুগতিক সিলেবাস দিয়ে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যাবে না।’
১৬ মার্চ, শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’-এর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ইন্টারনেটকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞানভাণ্ডার উল্লেখ করে ইন্টারনেটের সুফলকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীতে প্রথম মানুষ, যিনি বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। জাতির পিতার হাতে দেশটা স্বাধীন হয়েছে। আর সারা বিশ্বে অনুসরণ করার মতো দেশটা তৈরি করেছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে তিনি নানামুখী কার্যক্রম হাতে নেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন সদস্য পদ লাভ করে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের বাজেটে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের ওপর থেকে শুল্ক এবং কর প্রত্যাহার করেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইসতেহারে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা করেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর রফিক উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান। মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির।