সম্প্রতি, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রাইয়ুথ চান ওচার, হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের সিইও রেন ঝেংফেইয়ের সাথে একটি ভার্চুয়াল নির্বাহী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। জেনারেল প্রাইয়ুথ থাইল্যান্ডের ডিজিটাল রূপান্তর ও মহামারী-পরবর্তী পুনরুদ্ধারে হুয়াওয়ের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং ‘থাইল্যান্ড ৪.০’ কৌশল ও ডিজিটাল প্রতিভা বিকাশের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরাণ্বিত করার জন্য হুয়াওয়ের সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ভার্চুয়াল মিটিং চলাকালীন, জেনারেল প্রাইয়ুথ এবং রেন ডিজিটাল প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাবকে আরও শক্তিশালী করার এবং থাইল্যান্ডে আইসিটি প্রতিভার বিকাশের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তোলার বিষয়ে মতামত বিনিময় করেন।
জেনারেল প্রাইয়ুথ থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য উন্নত আইসিটি প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, “হুয়াওয়ে মহামারীর বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডের লড়াইয়ে এবং ডিজিটাল রূপান্তরে অনেক অবদান রেখেছে। আমি হুয়াওয়ের ইতিহাস এবং তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। ভবিষ্যতে থাইল্যান্ড ডিজিটাল অর্থনীতি, ফাইভজি স্মার্ট হাসপাতাল, ক্লাউড ও কম্পিউটিং, ডিজিটাল পাওয়ার, স্মার্ট লজিস্টিকস এবং ডেটা সেন্টারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের সাথে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।”
রেন হুয়াওয়ের প্রতি থাই সরকারের আস্থার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ৫জি রোলআউটে থাইল্যান্ডের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “হুয়াওয়ে এবং থাইল্যান্ড একটি শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতে, আমরা থাইল্যান্ডের মূল শিল্পখাত, বিশেষ করে নৌবন্দর এবং বিমানবন্দরে, ডিজিটাল প্রযুক্তির একীকরণকে ত্বরান্বিত করার জন্য উৎসাহী হয়ে আছি।”
থাইল্যান্ডের ৪.০ স্ট্র্যাটেজির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফাইভজি, ক্লাউড এবং এআই গ্রহণের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের ডিজিটাল রূপান্তর এবং আইসিটি অবকাঠামো উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে তার গ্রাহকদের সাথে কাজ করেছে। এর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের মূল সেক্টরগুলোকে আরও সক্রিয় করা যাবে এবং স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পরিবহন, ই-গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সিটিসহ একাধিক ক্ষেত্রে অনেক আকর্ষণীয় সুযোগ তৈরি হবে। এর মধ্যে, স্মার্ট পোর্ট এবং বিমানবন্দরগুলো হুয়াওয়ে এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করবে।
জেনারেল প্রাইয়ুথ এবং রেন থাইল্যান্ডে দক্ষ জনবল এবং ডিজিটাল প্রতিভা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন। থাইল্যান্ডের ডিজিটাল রূপান্তর এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে অব্যাহত রাখার জন্য, উভয়েই একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করতে সরকারী ও বেসরকারী খাতকে একসাথে কাজ করার গুরুত্বের উপর জোর দেন।
থাইল্যান্ডে আইসিটি প্রতিভা বিকাশ এবং ডিজিটাল কর্মশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে, ২০১৯ সালে হুয়াওয়ে আসিয়ান একাডেমি (থাইল্যান্ড) প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার মাধ্যমে ৪১,০০০ জনেরও বেশি পেশাজীবী এবং ১৩০০টি ছোট ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজগুলোকে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও, হুয়াওয়ে ২০টিরও বেশি থাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
২০২১ সালের মার্চ মাসে, হুয়াওয়ে থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অ্যাওয়ার্ড ‘ডিজিটাল ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন অব দ্য ইয়ার’ -এর জন্য নির্বাচিত হয়েছে। থাইল্যান্ডের সমাজের ডিজিটাল রূপান্তরে নিরলস প্রচেষ্টায় হুয়াওয়ের সহায়তা ও উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য হুয়াওয়েকে মূল্যবান এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। হুয়াওয়েই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা এই পুরস্কার অর্জন করেছে।