প্রথম ফোল্ডেবল স্মার্টফোন নির্মাণের কৃতিত্ব কিন্তু স্যামসাংয়ের নয়। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোল্ড ফোনটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অন্তত চার মাস আগে গত বছরের অক্টোবরে ফ্লেক্সপাই নামে এমন একটি স্মার্টফোন উন্মুক্ত করে ছোট একটি চীনা কোম্পানি, নাম রয়ল।
এ ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড এবং হুয়াওয়ের মেট এক্সের কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের হলেও বাজারে নাম করতে পারেনি। ফোনটির ১২৮ জিবি সংস্করণের দাম ১ হাজার ৩১৮ ডলার এবং ২৫৬ জিবি সংস্করণের দাম রাখা হয়েছিল ১ হাজার ৪৬৯ ডলার। সেখানে ৫১২ জিবি সংস্করণের গ্যালাক্সি ফোল্ডের দাম ১ হাজার ৯৮০ ডলার ও মেট এক্সের দাম ২ হাজার ৬০০ ডলার।
এদিকে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, নতুন করে ব্যবসায় গতি আনছে রয়ল। এরই মধ্যে তারা শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি ডলার সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) দাখিল করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন ফ্লেক্সপাই বাজারে সবার নজর কাড়লেও তারা মূলত নমনীয় ওএলইডি ডিসপ্লে নির্মাণের জন্যই বেশি পরিচিত। কোম্পানিটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাং ও বিওই টেকনোলজি। গত জুনে দক্ষিণ চীনের শেনঝেন শহরে নমনীয় ডিসপ্লে প্যানেল তৈরির নতুন একটি কারখানা চালু করেছে রয়ল। কারখানাটি নির্মাণে তারা ব্যয় করেছে ১৫০ কোটি ডলার।
এদিকে শেষ বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য ছিল ৫০০ কোটি ডলার। শেয়ারবাজারে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে এই মূল্য তারা ৮০০ কোটি ডলারে নিয়ে যেতে চায়।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, কাঙ্ক্ষিত অর্থ সংগ্রহে সক্ষম হলে এবং শেয়ারবাজারে থেকে গেলেও রয়ল সরাসরি ভোক্তার হাতে তুলে দেয়ার মতো পরিপূর্ণ ডিভাইস বানাবে না। স্যামসাং, হুয়াওয়ে, অপো, টিসিএল, শাওমির মতো স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, এমনকি অ্যাপলও দুই বছরের মধ্যে ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু রয়ল বলছে, ফোনের প্রতিযোগিতায় নামার কোনো পরিকল্পনা আপাতত তাদের নেই। তারা বরং অন্যান্য কোম্পানির জন্য নমনীয় ডিসপ্লে তৈরিতেই পূর্ণ মনোযোগ রাখতে চায়।