ক্যামেরা ও ড্রোন ব্যবসার আড়ালে জুয়ার টাকা বিদেশে পাঠাচ্ছে একটি চক্র। বছরে এদের মাধ্যমে শুধু একটি জুয়ার সাইট থেকে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
সিআইডি বলছে হুন্ডি, মিথ্যা ঘোষণায় আমদানীর মাধ্যমে টাকা গেছে দুবাই-রাশিয়ায়। এ ঘটনায় আমদানিকারকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮ জন।
ক্যামেরা ও ড্রোন কিনতে গিয়ে সরকার নির্ধারিত ট্যাক্স দিয়ে এসব আনা হয়েছে কিনা আর পণ্যটি যে আসল তার তথ্য প্রমাণ চাইলে এভাবেই তেড়ে আসেন পুরানা পল্টনের দারুস সালাম আর্কেডের দ্বিতীয় তলার এক দোকানি।
গোয়েন্দারা বলছেন, চাহিদা থাকায় জুয়ার টাকা সাদা করতে ক্যামেরা বেচাকেনায় নেমেছে চক্রটি। রাশিয়া বা দুবাই থেকে ক্যামেরা বা ড্রোন কিনে দেশে এনে বিক্রি করা হয় দারুস সালাম আর্কেডে এ দোকানে। এসবের নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র। আদমানি পণ্য বলে দামও দেখানো হয় বেশি।
রাশিয়া থেকে চালানো অনলাইন জুয়ার সাইট মোষ্টবেটের টাকা কোথায় যায়? এই প্রশ্নে জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা যায় জুয়ার টাকা বিকাশ-নগদের মত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে সংগ্রহ করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে রাখে আমদানীর লাইসেন্স থাকা ব্যবসায়ীরা। পরে সে টাকা তুলে নিয়ে যায় জুয়ারিরা।
পরে ক্যামেরার দাম দেয়ার নামে সে টাকা জমা দেয়া হয় ব্যাংকে। এভাবেই সাদা হয় কালো টাকা। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে মার্কেটির সভাপতি ফজলুল হককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। একটি চালানে ৭০ লাখ টাকা লেনদেনের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছন তিনি।
এভাবে গত বছরে ১৩৭টি চালানেরর মাধ্যমে সাড়ে ৩শ কোটি টাকা সরিয়েছে চক্রটি। এ মার্কেটের ৩ দোকানসহ অর্ধশত দোকানে জুয়ার টাকায় কেনা ক্যামেরা বিক্রি হয় বলেও জানিয়ে সিআইডি।