চীনা ড্রোন নির্মাতা ডিজেআই এবং আরও সাতটি চীনা প্রতিষ্ঠানের উপর আরো বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এই সাতটি প্রতিষ্ঠানের নাম যোগ হয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বিনিয়োগ নিষিদ্ধের তালিকায়। এর ফলে মার্কিন নাগরিকরা ডিজেআইয়ের শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন না।
চীনের উইঘুর মুসলমানদের উপর নজরদারির জন্য ডিজেআইয়ের ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘মূলত প্রতীকি’ বলে প্রতিবেদনে বর্ণনা করেছে বিবিসি। ডিজেআই এখনও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
এই নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন নাগরিকদের ডিজেআই ড্রোন কেনা এবং ব্যবহার করায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
২০২০ সালেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ডিজেআইতে কাঁচামাল বা পণ্য পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চীনা প্রতিষ্ঠানটিকে “জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের মতে, নিউ ইয়র্ক সিটির পুলিশসহ নয়শ’র বেশি মার্কিন জননিরাপত্তা সংস্থা ডিজেআই পণ্য ব্যবহার করে।
এর আগে ‘ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস’ ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ডিজেআই ড্রোন ব্যবহার করেছে।
‘ড্রোন ইন্ডাস্ট্রি ইনসাইটস’ অনুসারে, গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তাপণ্য হিসাবে চিহ্নিত ড্রোনের বাজারে ডিজেআই-এর শেয়ার ছিল শতকরা ৮০ ভাগ।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নাম উঠেছে টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের। ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে মার্কিন কোনো প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে কোনো লেনদেন করতে পারে না।
রয়টার্স বলছে, বাইডেন প্রশাসন চীনের বৃহত্তম চিপ নির্মাতা ‘সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের’ উপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে।