যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করেছিল মোবাইলফোন। ফোনে কথা বলার চেয়েও বেশি সহজ ও সুবিধাজনক মনে হয়েছিল এসএমএস পাঠানো। সম্প্রতি নিলামে তোলা হচ্ছে সেই এসএমএসের প্রথম নিদর্শনটিকে। প্রথম পাঠানো হয়েছিল কোন এসএমএস? কী-ই বা লেখা ছিল তাতে?
বর্তমানে ইন্টারনেট দুনিয়ায় দিনভর আলাপ চলে মানুষের। কিন্তু ইন্টারনেট যখন এতটাও সহজলভ্য হয়নি, তখনকার বিষয় ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেই সময় কথা চালাচালির সবচেয়ে দ্রুত উপায় ছিল এসএমএস। ফোন করার চেয়েও দ্রুত, অনেক সহজে জানানো যেত নিজের মনের কথা। যারা মনের কথা মুখোমুখি বলে উঠতে পারেন না, তাদের যে এই উপায়ে খুব সুবিধা হয়েছিল, তা তো বলাই বাহুল্য। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার আগমনের আগে পর্যন্ত একচেটিয়া রাজত্ব করেছে এসএমএস। আর সেই এসএমএসের প্রথম নিদর্শনটিকেই এবার নিলামে তুলছে একটি সার্ভিস প্রোভাইডার।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর, অর্থাৎ ২৯ বছর আগে পাঠানো হয়েছিল বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি। তখন বড়দিনের মৌসুম চলছিল। সেই সময়েই রিচার্ড জারভিসকে এ বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন ২২ বছরের নিল প্যাপওয়ার্থ। ১৫টি অক্ষরের এই বার্তায় লেখা ছিল ‘মেরি ক্রিসমাস’। মজার কথা হলো, ব্রিটিশ প্রোগ্রামার নিল প্যাপওয়ার্থ এই এসএমএসটি ফোন থেকে করেননি, কম্পিউটার থেকে পাঠিয়েছিলেন। সেই ঘটনার কথা মনে করে তিনি সম্প্রতি বলেছেন, সেদিন তিনি ভাবতেও পারেননি যোগাযোগের এই পদ্ধতিটি ভবিষ্যতে এত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
এবার প্রথম এসএমএসটি নিলামে তোলা হল প্যারিসের এক নিলামঘরে।
বিক্রেতারা মনে করছেন এর দাম উঠতে পারে দু লাখ ডলার পর্যন্ত। চলতি মাসের ২১ তারিখেই অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে এ নিলাম। এই নিলামের সব অর্থই দান করা হবে রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী শিবিরকে। প্রথম এসএমএসটি মানুষ এবং মানুষের সৃষ্ট প্রযুক্তির ইতিহাসের একটি দলিল, তাই এটি বিক্রির দরুন প্রাপ্ত অর্থ মানুষেরই কাজে লাগুক, এমনটাই বক্তব্য নিলামঘরের কর্তৃপক্ষের। আর সে কারণেই, একটি ডিজিটাল নমুনা হিসেবে এই এসএমএসটিকে নিলামে রাখছেন তারা।