‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)’ ভক্তদের জন্য সুখবরই বলা চলে; মহাকাশ স্টেশনটি আরো প্রায় এক দশক চালু রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু তারপর মহাকাশ গবেষণার জন্য ‘বাণিজ্যিক স্পেস স্টেশনের’ দিকে নজর ফেরাবে নাসা।
বাইডেন সরকার ২০৩০ সাল পর্যন্ত আইএসএসের কার্যক্রম বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন নাসা ব্যবস্থাপক বিল নেলসন।
“ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন হচ্ছে শান্তিপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সহযোগিতার বাতিঘর যা থেকে ২০ বছরে মানবজাতির জন্য অসংখ্য বৈজ্ঞানিক, শিক্ষণীয়, এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এসেছে।”– এক বিবৃতিতে বলেছেন নেলসন।
“বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন ২০৩০ সাল পর্যন্ত আইএসএস চালু রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আমি খুবই খুশি।”
সিনেট জানিয়েছে, ভবিষ্যৎ মহাকাশ গবেষণায় বাণিজ্যিক স্পেস স্টেশন এবং পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে নাসা। এর মধ্যেই এলো ২০৩০ সাল পর্যন্ত আইএসএস চালু রাখার সিদ্ধান্ত।
ডিসেম্বর মাসে ব্লু অরিজিন, ন্যানোর্যাক্স এবং নর্থ্রপ গ্রুম্যান– এই তিন প্রতিষ্ঠানকে স্পেস স্টেশন এবং অন্যান্য ‘বাণিজ্যিক গন্তব্যের’ পরিকল্পনা করতে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল দিয়েছে নাসা।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি বলছে, খরচ কমিয়ে এনে চাঁদে ‘আর্টেমিস’ মিশন আর মঙ্গলে অভিযানে মনোযোগ দেওয়া সহজ হবে এতে।
প্রথমে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অনুমোদন পেয়েছিল আইএসএস। কারিগরি সক্ষমতার বিচারে স্পেস স্টেশনটি ২০২৮ সালের পরেও কার্যক্ষম থাকবে বলে জানিয়েছিল নাসা।
আইএসএস ২০৩০ পর্যন্ত চালু রাখলে, এতে নাসা “ চলতি দশকের শেষের দিকে পৃথিবীর কক্ষপথে সক্ষমতা এক বা একাধিক বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত গন্তব্যে সহজ স্থানান্তরে সহযোগিতা পাবে”– বিবৃতিতে বলেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।