১৫ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল অ্যাপলের আইফোন। ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি আইফোনের প্রথম জেনারেশন প্রকাশ করেছিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। তারপর ধীরে ধীরে আপগ্রেড করার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশ করল আইফোনের সর্বশেষ ভার্সন আইফোন ১৩। সম্প্রতি গ্রাহকদের জন্য বাজারে ছাড়া হয়েছে iOS 15.2.1 এবং iPadOS 15.2.1।
তবে বিভিন্ন সময় আইফোন ব্যবহারে ত্রুটি দেখা দেয়। যে কারণে অ্যাপল বিভিন্ন আপডেটও নিয়ে আসে ব্যবহারকারীদের জন্য। এবার আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য নতুন আপডেট নিয়ে হাজির হয়েছে নির্মাতা সংস্থা অ্যাপল। মূলত গত বছর আইফোন ও আইপ্যাডে বেশকিছু ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। সেই ত্রুটি মেটানোর জন্যই এই নতুন আপডেট দেওয়া হচ্ছে।
নতুন এই আপডেট দেওয়া হবে আইফোন ৬এস এবং এর পরের মডেলগুলোতে। এছাড়াও iPad Pro এর সব মডেল, iPad Air 2 এবং পরবর্তী মডেলগুলোতে, iPad 5th generation ও এর পরবর্তী মডেলে, iPad mini 4 ও এর পরবর্তী মডেলে, iPod touch 7th generation এ এই আপডেট দেওয়া হবে।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এরইমধ্যে এই আপডেট পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। সব ডিভাইসে একসঙ্গে এই আপডেট পাঠানো হচ্ছে না। ধীরে ধীরে সব ফোন এবং আইপ্যেডে এই আপডেট দেওয়া হবে।
গতবছর এক সিকিউরিটি গবেষক আইপ্যডে একটি ত্রুটি খুঁজে পান। তিনি তার একটি রিসার্চ পোস্টে এই ত্রুটির বিষয়ে জানিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন iOS 15.1 এর পরবর্তী যে OS-ভার্সনগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো এই ত্রুটির ফলে সমস্যায় পড়বে।
এমনকি ফোন রিবুট (Reboot) করার পরও এই সমস্যার সমাধান হবে না। যে বাগটি চিহ্নিত করা হয়েছে সেটি একবার মুছে ফেলার পরও ফের ফোনে আক্রমণ করতে পারে। এ ছাড়াও আইফোনের সঙ্গে সংযুক্ত অন্য ডিভাইসের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে বাগটি।
আপনার আইফোন আপডেট করবেন যেভাবে
প্রথমে সেটিংস অপশনে গিয়ে জেনারেল বাটনে ক্লিক করুন। সেখানে সফটওয়্যার আপডেট অপশন দেখতে পাবেন। এই অপশনে ক্লিক করলেই আপডেট হতে শুরু করবে।
তবে এখনো সব ব্যবহারকারীর জন্য আপডেট দেওয়া হয়নি। তাই যদি আপনার ফোনে আপডেট আসে। তাহলে সফটওয়্যার আপডেট এর জায়গায় একটি লাল রঙের নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
আপডেট আসার পর নিজের আইফোন অবশ্যই আপডেট করে নিন। এটা খুব ছোটো একটি আপডেট। তবে এই প্যাচ ফাইলটি ইনস্টল না করলে যে কোনো সময় অকেজো হয়ে যেতে পারে আপনার সাধের আইফোনটি।