বিশ্বজুড়ে তথ্য-পরীক্ষাকারী ৮০টিরও বেশি সংস্থার দাবি, বর্তমানে ভিডিও-শেয়ারিং সাইট ইউটিউব হয়ে উঠেছে ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় অন্যতম প্রধান মাধ্যম। তাই ইউটিউব অপব্যবহারকারীদের লাগাম টানতে উদ্যোগী হয়েছে সংস্থাগুলো। অবিলম্বে সেই ভিডিওগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউটিউবকে প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে তারা।
গুগলের মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্মের প্রধান নির্বাহী সুসান ওয়াজসিকিকে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাগুলো। চিঠিতে বলা হয়েছে যে এটি বিশ্বব্যাপী অনলাইন বিভ্রান্তি এবং ভুল তথ্যের অন্যতম প্রধান কারণ।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পলিটিফ্যাক্ট, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ফ্যাক্ট চেকার, পয়েন্টার্স মিডিয়াওয়াইজ, আফ্রিকার দুবাওয়া, আফ্রিকা চেক ও ভারতের ফ্যাক্ট ক্রিসসেন্ডো, ফ্যাক্টলি সংস্থাগুলো ছড়াও ওই চিঠিতে সাক্ষর করেছে ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল এবং তুরস্ক সহ বিভিন্ন দেশের নাম করা ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাগুলো।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এই ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাগুলো অনলাইনে মিথ্যা ছড়ানো কনটেন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে আসছে। তাদের মতে, অনলাইনে বিশ্বব্যাপী ভুল তথ্যের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব। যা এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংস্থাগুলো বলছে, এই ভিডিও-শেয়ারিং সাইটে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত এমন কিছু ভুল তথ্য রয়েছে, যা ক্যানসার রোগীদের অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার দিকে আগ্রহী করে তুলছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করে বিগত দুই বছরে এই প্ল্যাটফর্মে করোনা মহামারি ও এর টিকা নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। যা পরবর্তীতে করোনার টিকা বয়কট করতে বিশ্বের বেশ বড় সংখ্যার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
এ সমস্যা সমাধানে ইউটিউবের স্বচ্ছতা বাড়িয়ে ভুয়া তথ্য বিরোধী নীতি আরও জোড় দার করতে ইউটিউবকে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাগুলো। তা ছাড়াও বিশেষজ্ঞ গবেষকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভিডিও মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউটিউবের কাছে আহ্বান জানিয়েছে তারা।