বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য হুমকির মুখে পড়েছে। রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের কেউ আর নিরাপদ নেই। কথায় কথায় কল রেকর্ড বা ভিডিও রেকর্ড, ব্যক্তিগত ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি আরও বলেছেন, সংবিধানের ৪৩ (খ) অনুচ্ছেদে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অথচ স্বাধীনতার ৫০বছরেও বাংলাদেশে তথ্য সুরক্ষা আইন করা হয়নি।
বিশ্ব ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে সক্রিয় সিমের পরিমাণ প্রায় ১৮ কোটি, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকার পরও ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা যাচ্ছে না। ফলে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে ভাইরালের মাধ্যমে মানহানি ঘটানো হচ্ছে যা সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্তি।
মানববন্ধন থেকে সংগঠনটি ‘ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা আইন-২০২২’ নামে আইন পাস, সব সেবার ক্ষেত্রে শুধু এনআইডি বা ফোন নম্বর দিয়ে সেবাদান, ব্যক্তিগত ফোনালাপ বা অডিও-ভিডিও প্রকাশকারীকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার বাধ্যতামূলক না করার দাবি জানায়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক, বাংলাদেশ ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা হক, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, এনডিএম’র সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, মোবাইলে রিচার্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক জামিল, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহজাহান শেখ ফরিদ প্রমুখ।