স্মার্টফোন ছাড়া এখন অনেকেরই এক মুহূর্তও চলে না। কাজের বাইরেও মনোরঞ্জনের নানান উপকরণ রয়েছে হাতের মুঠোফোনেই। তবে সেখানে বাদ সাধে মোবাইল ডাটা। ইন্টারনেটের কল্যাণে পুরো বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়।
ঘরে কিংবা অফিসে ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা থাকলেও রাস্তায় চলতে ব্যবহার করতে হয় মোবাইলের ডাটা। তবে শুধু মোবাইল ডেটা যাদের ভরসা, তাদের কাছে ডেটা শেষ হয়ে যাওয়া বড় সমস্যা। বিভিন্ন সিম কোম্পানি আপনাকে নানান অফারে সেগুলো দিয়ে থাকে। তবে ইন্টারনেট ডাটায় সীমাবদ্ধতা থাকায় বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়।
দ্রুত শেষ হয়ে যায় ডাটা। বারবার রিচার্জের ঝামেলা পোহাতে হয় আপনাকে। এরপর আবার শান্তিমতো কোনো কিছু দেখাও যায় না। এই সমস্যার সমাধান কিন্তু রয়েছে আপনার হাতেই। একটু কৌশলী হয়ে মোবাইলের ডাটা ব্যবহার করলে এই সমস্যায় পড়তে হবে না আপনাকে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে দ্রুত ডাটা ফুরিয়ে যাওয়ার সমস্যা সমাধান করা যায়-
> বাড়িতে যদি ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা থাকে তবে প্রয়োজনীয় কাজ বাড়িতেই সারুন। বাইরে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না।
> সব সময় ডাটা অন করে না রেখে প্রয়জনের সময় শুধু অন করুন। বাকি সময়টা অফ রাখুন।
> বেশি ডেটা খরচ করে এমন অ্যাপের ব্যবহার কমিয়ে দিন। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভিডিও দেখে বেশি ডেটা খরচ করে ফেলেন।
> বেশি বিজ্ঞাপন দেখায় এমন অ্যাপ থেকে দূরে থাকুন।
> ডেটার সীমা সেট করা দারুণ একটি কৌশল। এর জন্য আপনাকে ডেটা ব্যবহার বিকল্পে গিয়ে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনাকে
ইনফরমেশন কাটঅফ (Information Cutoff) এবং চার্জিং সাইকেল (Charging Cycle) এ ক্লিক করতে হবে। আপনি ডেটা সেট করতে পারেন সেখান থেকে। আপনি যদি রোজ ১জিবি ডেটা ব্যবহার করেন, তা হলে ১জিবি শেষ হয়ে গেলে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে।
> অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশ কিছু অ্যাপ চলতে থাকে। সেগুলো নিজেদের আপডেট করে নিচ্ছে আপনার অজান্তেই।
> সেটিংসে গিয়ে এটি পরিবর্তন করা যেতে পারে। এজন্য আপনাকে শুধুমাত্র ওয়াই ফাই এর মাধ্যমে অটো আপডেট অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এতে আপনার ফোনের অ্যাপগুলো শুধুমাত্র ওয়াই ফাই-এ আপডেট হবে। মোবাইল ডেটা খরচ হবে না। ডেটা সেভার মোড একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এতে ডেটা খরচ কমতে পারে অনেকটাই।