ক্যামেরা লাইনআপের পরিধি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অ্যাকশন ক্যামেরা নির্মাতা গোপ্রো। আগামী বছরই আরো বিশেষায়িত ক্যামেরা আনার কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী নিক উডম্যান।
বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের উপস্থাপনায় তিনি জানিয়েছেন, এখনকার ‘হিরো’ ও ‘ম্যাক্স’ মডেলের বাইরে ২০২৩ সালে আরো দুটি নতুন মডেল আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
তবে নতুন মডেলেও এখনকার ক্যামেরা প্রযুক্তিই ব্যবহার করবে গোপ্রো।
অতীতে স্ক্রিনবিহীন ‘সেশন’ ক্যামেরা থেকে শুরু করে হিরো ৩ এবং ৭ লাইনআপের অধীনে বিভিন্ন রঙভিত্তিক মডেল বাজারজাত করেছে গোপ্রো। সেই দৃশ্যপট পাল্টেছে হিরো ৮ মডেলটি দিয়ে।
হিরো ৮-এর অভিষেকের পর থেকে কেবল ‘ফ্ল্যাগশিপ’ মডেল বাজারজাত করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ বলছে, মানভেদে তিন স্তরের পণ্য বাজারজাতকরণ কৌশলে ফিরতে চায় না গোপ্রো।
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা উডম্যান বলেছেন, প্রতিষ্ঠানের আগের ব্যবসা কৌশলে একই ক্রেতার জন্য একাধিক মডেলের ক্যামেরা বানাতো গোপ্রো। কিন্তু, এবার বিশেষায়িত মডেল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে তার প্রতিষ্ঠান, যা হিরো ও ম্যাক্স মডেল দুটির ক্রেতাদের বাইরে ‘একেবারেই ভিন্ন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করবে’।
গোপ্রো কেবল সবার ব্যবহারের উপযোগী ‘সুইস আর্মি নাইফ’ ধাঁচের ক্যামেরা বানাতে চায় না। এবার পেশাদার ফটোগ্রাফির বাজারে অবস্থান গড়ার কথা বলেছেন তিনি।
এ ছাড়া ক্রেতাদের জন্য ‘প্রিমিয়াম’ মানের ক্যামেরা নির্মাণের কথা বলেছে গোপ্রো। বর্তমান ‘হিরো’ এবং ‘হিরো ৩৬০’ মডেল দুটি দিয়ে প্রয়োজন মিটছে না যাদের, সেই ক্রেতাদের চাহিদায় গুরুত্ব দিতে চায় এ কোম্পানি।
তবে নতুন মডেলগুলো যে বিদ্যমান প্রযুক্তি নির্ভর হবে, সেটি নিশ্চিত করেছেন উডম্যান। ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য একাধিক মডেলের নকশা করলেও অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তি থাকবে একই।
নতুন ক্যামেরার পাশাপাশি সফটওয়্যারভিত্তিক নতুন সেবার কথাও বলেছে গোপ্রো। ভবিষ্যতের রোডম্যাপে ‘নতুন ক্লাউড সক্ষমতা এবং সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনও’ আছে বলে জানিয়েছে তারা।