চিপ উৎপাদন প্রযুক্তি চুরি রোধে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে তাইওয়ান। বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি বাড়তে থাকার উদ্বেগের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তাইপে সরকার। খবর রয়টার্স।
বিশ্বের সর্বাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর চিপের বেশির ভাগই তৈরি করে টেক পাওয়ারহাউজ তাইওয়ান। ফাইটার জেট থেকে শুরু করে সেলফোন পর্যন্ত সবকিছুতেই এসব চিপ ব্যবহার করা হয়। তবে এমন সফলতার অনুলিপি তৈরি করতে চীনের প্রচেষ্টা নিয়ে প্রবল আশঙ্কায় ছিল তাইপে। এর মধ্যে চীন অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি, প্রতিভা শিকার এবং অন্যান্য পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে বলেও ভাবছিল তাইওয়ান।
তাইওয়ানের মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি প্রতিরোধে এটিকে নতুন অপরাধ হিসেবে বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। সে অপরাধে যারা চীনের কাছে অথবা বিদেশী শত্রু শক্তির কাছে মূল প্রযুক্তিগুলো উন্মুক্ত করে দেবে তাদের ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
চিপ জায়ান্ট তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (টিএসএমসি) সবচেয়ে আধুনিক ২-ন্যানোমিটার প্রযুক্তিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে মন্ত্রিসভার মুখপাত্র লো পিং-চেং বলেন, নতুন আইনের অধীনে এসব প্রযুক্তি তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হতে পারে। তাই বাণিজ্য গোপনীয়তা নিয়ে বিদ্যমান আইনগুলোর মতোই এসবের জন্য বাড়তি সুরক্ষা দরকার। অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি অপরাধের বিচারের গতি বাড়াতে একটি মনোনীত আদালতও স্থাপন করা হবে।
এমনকি দেশটির সরকার তৃতীয় কোনো দেশে চীনের প্রতিষ্ঠান সেটআপের কথা বলে তাইওয়ানের মেধাবীদের নিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে আইন কঠোর করার প্রস্তাবও দিয়েছে। তবে এসব প্রস্তাব আইনে পরিণত করার আগে মন্ত্রিসভায় সংশোধনী পাস হতে হয়।