যেকোনো গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষ গুগল ম্যাপের ওপর ভরসা রাখেন। বিশেষ করে অপরিচিত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অ্যাপটি বেশি ব্যবহার করা হয়। কারণ স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে এরিয়াল ফটোগ্রাফি, রাস্তার ৩৬০ ডিগ্রি ইন্টারেক্টিভ প্যানোরামিক দৃশ্য কিংবা রিয়েল-টাইম ট্রাফিক অবস্থা, পায়ে হেঁটে, গাড়ি, বাইক, বিমান এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টে সবরকম ভ্রমণের জন্য রুট পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে গুগল ম্যাপ।
কিন্ত গুগল ম্যাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট অনেকেরই অজানা। প্রায়ই দেখা যায় গাড়ি গতি বাড়ার ফলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন যাত্রীরা, আবার ট্রাফিক পুলিশ বা প্রশাসন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সিসিটিভি ক্যামেরায় চোখে পড়লে মোটা অংকের জরিমানাও গুণতে হয়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে গুগল ম্যাপের স্পিড লিমিট ওয়ার্নিং অপশন। চালকদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফিচার স্পিড লিমিট ওয়ার্নিং।
এর বৈশিষ্ট হল যখনই গাড়ির গতি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে যাবে একটি নোটিফিকেশন প্রদর্শিত হতে থাকবে স্ক্রিনে। গাড়ি অতিরিক্ত গতিতে চললে এই নোটিফিকেশন স্ক্রিনে দেখা যাবে। তৎক্ষণাৎ গাড়ির চালক সতর্ক করতে সাহায্য করবে। স্পিড লিমিট অতিক্রম করলে গুগল ম্যাপের স্পিডোমিটার রং পরিবর্তন হতে থাকবে। স্ক্রিনে ভ্রমণ সময়কালের উপরের বাম কোণে স্পিড লিমিট সেকশনে এই রং পরিবর্তনের দৃশ্যটি দেখতে পাবেন।
ধাপে ধাপে স্পিড লিমিট ব্যবহার করার পদ্ধতি –
১. প্রথম গুগল ম্যাপ ওপেন করুন। এবার গুগল ম্যাপের উপরে ডান দিকে কোণে প্রোফাইল ফটো সেকশনে যান।
২. এখানে সেটিং অপশন থাকবে, সেটিতে ক্লিক করে নেভিগেশন সেটিং অপশনে ক্লিক করতে হবে।৩. এখানে স্পিড
লিমিট বলে একটি অপশন খুঁজে পাবেন, যেটা অন করে দিতে হবে।
৪. স্পিড লিমিট অপশন চালু করার সাথেই স্পিডোমিটার বৈশিষ্ট্য কাজ করা শুরু করবে। যদি স্পিড লিমিট অতিক্রম হয় তাহলে নোটিফিকেশন দেখা যাবে স্ক্রিনে।