দেশে ৩১ মার্চ থেকে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সকালে রাজধানীর মিরপুরে ইনডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি আধুনিকায়নে জোর দিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তিতে কাজ হচ্ছে।
ফাইভ জি চালু হলে সবাই এর সুফল পাবে। সেবা প্রদানকারীদের মাঝে স্পেকট্রাম বরাদ্দ দেয়ার কাজও এগিয়ে চলেছে। আগামী শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় এখন থেকেই কাজ করতে হবে বলে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বেকারদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফোর-জি নেটওয়ার্ক নিশ্চিতের জন্য কাজ করে আসছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। তবে তরঙ্গ নিলামের আগে অবকাঠামো উন্নয়ন ও গাইডলাইন তৈরির ওপর জোর দিযেছেন তারা।
একই সাথে কম দামে তরঙ্গ নিলামে সেবার মানও বাড়বে বলছেন তারা। এর আগে অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমপক্ষে ১০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়ার কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
কয়েকমাস আগেই টেলিটকের হাত ধরে ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করে দেশ। ১০০ মেগাহার্জ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টেলিটকের অনুকূলে ৬০ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি।
রবির চীফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদুল আলম জানিয়েছেন, দেশে ফাইভ-জির মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে ১০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় তরঙ্গ পেতে তরঙ্গমূল্য নির্ধারণে বিশেষ বিবেচনা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি জানায়, নিলামের এক সপ্তাহ আগে তরঙ্গের প্রাথমিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে। নিলামে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই তরঙ্গের দাম বাড়ায়।
এদিক তরঙ্গের দাম আকাশ ছোয়া নয় জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমপক্ষে ১০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হবে। একই সাথে থাকবে গাইডলাইনও।
এর আগে ফাইভ-জি সেবা নিশ্চিতে জেলা পর্যায়ে ৩০০ জিবিপিএস এবং উপজেলা পর্যায়ে ১০০ জিবিপিএস গতির ইন্টারনেট সরবরাহে অপটিক্যাল ফাইবার উন্নয়নে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে এক হাজার ৫৯ কোটি টাকা। মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত।