নিজেদের কার্যক্রমের ২৫ বছর পূর্তি করেছে গ্রামীণফোন। এই যাত্রাপথে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি নানাভাবে অবদান রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ বছর স্বাধীনতার ৫১ বছর উদযাপন করছে বাংলাদেশ, একই সময়ে নিজেদের ২৫ বছর পূরণ করলো গ্রামীণফোন। ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দেশের সম্ভাবনা উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে গ্রামীণফোনের স্বপ্নের শুরু।
প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য নিজেদের ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এবং কানেক্টিভিটির বাইরে অন্যান্য ক্ষেত্রেও অবদান রাখা। ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান নিজেদের নানা সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন সংবাদমাধ্যমের কাছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের রূপরেখা সামনে আসে। এরপর এটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারি পর্যায় থেকে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ২০১৩ সালে থ্রিজি এবং ২০১৮ সালে ফোরজি এসেছে। ২০২২ সালে আমরা ফাইভজি প্রযুক্তির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন শুধু ভয়েস কল নয়, মোবাইল ইন্টারনেটও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ফাইভজির জন্য বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, প্রকৃতপক্ষে ফাইভজির জন্য বাংলাদেশে ‘ইউস কেস’ নেই বললেই চলে। কারণ এন্টারপ্রাইজ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরেই মূলত ফাইভজির ব্যবহার বেশি। আর সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি আরও উন্নত ফোরজি। ৩১ মার্চ বিটিআরসি বড় আকারে একটি বেতার তরঙ্গ নিলাম করতে যাচ্ছে। সেখান থেকে যে তরঙ্গ পাওয়া যাবে, সেটা ফোরজিতে নেটওয়ার্কের কোয়ালিটি নিশ্চিত করার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।
গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনর গ্রুপ বিশ্বের কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে ফাইভজি চালু করেছে। ফলে গ্রামীণফোনেরও প্রস্তুতি আছে বলে জানালেন ইয়াসির আজমান।
ফোরজিতে এসেও গ্রামীণফোনের অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাকহল মাত্র ১৪ শতাংশের বেশি নয়, তাহলে ফাইভজির ক্ষেত্রে আরও বড় চ্যালেঞ্জ থেকে যাচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এটা সত্য যে, এখন পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাকহল প্রয়োজনের চেয়ে কম আছে। তবে এটা বেশিদিন থাকবে না। গ্রামীণফোন দ্রুততার সঙ্গেই অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাকহল বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপন কিংবা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে অপারেটররা পরিচালনা করতে পারে না। এর জন্য আলাদা লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান আছে।’