অ্যান্ড্রয়েডে ব্লুটুথ ট্র্যাকার ডিটেকশন যুক্ত করবে গুগল। টাইল ট্র্যাকারস ও অ্যাপলের এয়ারট্যাগের মতো ডিভাইসগুলো বর্তমানে ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে এটির অপব্যবহারের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির অবস্থান জানার অভিযোগও রয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে বাজারে এয়ারট্যাগ নিয়ে আসে অ্যাপল। উন্মোচনের পর থেকে ট্যাগের অবস্থান সম্পর্কে জানতে বেশকিছু পদ্ধতিও বের করেছে কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি। ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ডিভাইসটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি শব্দ বেজে ওঠার ফিচার যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি আশেপাশে অপ্রয়োজনীয় বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো এয়ারট্যাগের সন্ধান পেলে সে বিষয়ে ব্যবহারকারীদের অবগত করবে আইফোন।
ডিসেম্বরে এয়ারট্যাগ স্ক্যানিংয়ের জন্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপও চালু করেছে অ্যাপল। চলতি মাসে টাইল তাদের আইওএস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপেও ফিচারটি যুক্ত করেছে। তবে ট্র্যাকার ডিটেকশন প্রযুক্তিতে যেসব শনাক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। ব্যবহারকারীদের একটি বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সেটি হলো ব্লুটুথ ট্র্যাকারের অপব্যবহার সম্ভব এবং এতে এমন কিছু অ্যাপ থাকবে, যা তাদের ডিভাইসের কার্যক্রম তদারক করতে পারবে। অ্যাপল ও টাইল তাদের অ্যাপে ব্যবহারকারীদের ম্যানুয়ালি ট্র্যাকার অনুসন্ধানের সুবিধা দেয়। তবে এটি সম্পন্নে ১০ মিনিটেরও বেশি সময় লাগে।
৯টু৫গুগলের তথ্যানুযায়ী, প্লে সার্ভিসে ট্র্যাকার ডিটেকশন ফিচারের জন্য অ্যান্ড্রয়েড টিম এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। বর্তমানে ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। অপারেটিং সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ প্রযুক্তি থাকা কিংবা ম্যানুয়াল স্ক্যানারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনুসরণের বিষয়ে সতর্ক করার বিষয়টি ব্যবহারকারীদের অনাকাঙ্ক্ষিত নজরদারি থেকে সুরক্ষিত রাখবে।