যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির মুখে চুক্তিতে গিয়ে ‘ফেঁসে গেছে’ বোয়িং। এরই মধ্যে একশ ১০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে কোম্পানির, আর চুক্তিতে যাওয়া ‘সম্ভবত সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাহী।
২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে বুধবারের এক কনফারেন্স কলে বোয়িং প্রধান ডেভ কালহউন জানিয়েছেন, বছরের প্রথম তিন মাস পর্যন্ত নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান নির্মাণ প্রকল্পে ৬৬ কোটি ডলার বাড়তি খরচ করে ফেলেছে তার প্রতিষ্ঠান।
“আমি এয়ার ফোর্স ওয়ানকে একটি অদ্ধুত বিষয় বলবো। এর আলাপ-আলোচনাও ছিল অদ্ভুত, ঝুঁকিগুলোও ছিল নতুন যা বোয়িংয়ের নেওয়া ঠিক হয়নি। কিন্তু আমরা এই পরিস্থিতির মধ্যেই আছি এবং দিন শেষে সেরা মানের এয়ারপ্লেন সরবরাহ করবো।”
২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে তিনশ ৯০ কোটি ডলারের বিনিময়ে দুটি নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান নির্মাণের চুক্তি করেছিল বোয়িং। চুক্তিটি ছিল একটি ‘বেঁধে দেওয়া মূল্যের চুক্তি’। এর মানে হচ্ছে, প্রকল্প শেষে খরচ যাই হোক না কেন, পূর্বনির্ধারিত মূল্যের বাইরে কোনো খরচ দেয় না ক্রেতা। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হলেও সেই অর্থ দাবি করা যাবে না।