বিক্রি কমে যাওয়ায় গত অর্থবছরে ভারতের শীর্ষ তিন সেলফোন কোম্পানি মাইক্রোম্যাক্স, ইনটেক্স ও লাভার আয় ব্যাপক কমেছে। নতুন উপাত্তে দেখা গেছে, চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর তুলনায় এ তিন কোম্পানি এক-চতুর্থাংশেরও কম হ্যান্ডসেট বিক্রিতে সক্ষম হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমস।
বিজনেস ইন্টেলিজেন্স প্লাটফর্ম ভেরাটেক ইন্টেলিজেন্সের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে স্মার্টফোন ও ফিচার ফোন নির্মাতা মাইক্রোম্যাক্স, ইনটেক্স ও লাভার সমন্বিত আয় ২২ শতাংশ কমে ১০ হাজার ৪৯৮ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে। এর বিপরীতে শাওমি, অপো ও ভিভো সমন্বিতভাবে ৪৬ হাজার ১২০ কোটি রুপি ঘরে তুলেছে, যা আগের অর্থবছরের দ্বিগুণ।
তীব্র প্রতিযোগিতায় পণ্যের দাম হ্রাসে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো। আর এ কারণেই আগের অর্থবছরের তুলনায় এ কোম্পানিগুলোর সমন্বিত মুনাফা ৭০ শতাংশ কমে ১৮৭ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে। যেখানে শুধু শাওমিই ২৯৩ কোটি রুপি মুনাফা করেছে। তবে অপোর নিট ৩৫৮ কোটি রুপি ও ভিভোর ১২০ কোটি রুপি নিট লোকসান হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর আয় আরো কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রিলায়েন্স স্টেবলের ফোরজি ফিচারযুক্ত জিওফোন সাশ্রয়ী ডাটা বান্ডলিংয়ের কারণে শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে এবং স্মার্টফোনের বাজারে আধিপত্য ধরে রাখবে চীনা কোম্পানিগুলো।
হংকংভিত্তিক কাউন্টারপয়েন্ট টেকনোলজি মার্কেট রিসার্চের বিশ্লেষক কার্ন চৌহান বলেন, ‘চীনা ব্র্যান্ডগুলোর কারণে সৃষ্ট তীব্র প্রতিযোগিতায় ভারতীয় কোম্পানির বাজার শেয়ার হারানোর প্রথা চলতি বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে একমাত্র মাইক্রোম্যাক্স ও লাভা এন্টিলেভেলের স্মার্টফোনের বাজারে ভালো করছে।’
দক্ষিণ ভারতের শীর্ষস্থানীয় সেলফোন রিটেইল চেইন সংগীতা মোবাইলসের এমডি সুবাস চন্দ্র বলেন, স্মার্টফোনের বাজারে শাওমি এবং ফিচার ফোনের জগতে রিলায়েন্স জিওর মধ্যে পড়ে ভারতীয় ব্র্যান্ডগুলোর স্যান্ডউইচ দশা।
গত বছর ভারতের স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে মাইক্রোম্যাক্স ছিল পঞ্চম বৃহত্তম অবস্থানে। আর ফিচার ফোন সেগমেন্টে এ অবস্থানে রয়েছে লাভা।